আদর্শ সন্তান গঠনে মা বাবার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ?

আদর্শ সন্তান গঠনে মা বাবার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ

নিম্নে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে পিতা-মাতার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ, এ বিষয়ে একটি বিস্তর আলোচনা তুলে ধরা হলো-

সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে পিতা-মাতার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ

শিশুরা জাতির ভবিষ্যত।

এই কথাটি আক্ষরিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে সেই বহু আগে থেকেই। বাস্তবেও তাই। আজকের যে শিশু সে আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ।

আমরা যারা বর্তমানে এই সমাজ, জাতি ও দেশকে পরিচালনা করছি, একদিন এইসব স্থানগুলো ছেড়ে দিতে হবে আজকের শিশুর পরিণত বয়সে। এই কারণে ভবিষ্যতের দিনগুলোর কথা বিবেচনা করে শিশুকে গড়ে তুলতে হবে সত্যিকারের একজন সফল মানুষ হিসেবে।

অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক এবং সমাজের সচেতন মানুষদের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে, আজকের শিশুকে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করা।

শিশু যে প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাঞ্ছিত এবং অবাঞ্ছিত উভয় কার্যের ভেতর দিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

আগে লোকে প্রবৃত্তিক শিক্ষার ভেতর দিয়ে সন্তানকে সুসংস্কৃত করে তোলার কৌশল জানত না। তারা দমননীতির আশ্রয় নিত। শাস্তি দিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে শিশুর গুণগুলোর বিকাশের চেষ্টা করা হতো।

আমরা এখন জানি যে, দমন প্রণালী একান্ত ভ্রান্ত, এটা কখনও সফল হয় না, তাছাড়া এটা মানসিক বিফলতা সৃষ্টি করে। প্রবৃত্তিকে বাঞ্ছিত পথে চালিত করার জন্যে নতুন পন্থা অবলম্বন করতে হয়।

অভ্যাস এবং কৌশল যেন– শিশুর প্রবৃত্তিগুলোর আত্মপ্রকাশের পথ। পথের গতি যেদিকে, প্রবৃত্তিও পানির স্রোতের মত সেদিকে প্রবাহিত হয়।

শিশুকে উপযুক্ত অভ্যাস এবং উপযুক্ত কৌশল আয়ত্ত করিয়ে তার প্রবৃত্তিকে বাঞ্ছিত কাজে উদ্দীপ্ত করা যায়। শিশুর লোভ দমনের কোন প্রয়োজন হয় না। কাজেই জোর-জবরদস্তিরও কোন আবশ্যকতা নেই।

নিষেধ করে শিশুকে কোন কাজ থেকে নিবৃত্তি করায় তার মনে যে নৈরাশ্যের সৃষ্টি তা উৎপাদনের কোন কারণ ঘটে না। সকল কাজেই শিশু স্বতঃপ্রবৃত্ততা ও স্বাধীনতা বোধ করে।

শিশুর শিক্ষা সম্বন্ধে যে প্রণালী লিখিত হয়েছে সকল ক্ষেত্রেই যে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে এমন কথা নেই। অদৃষ্টপূর্ব এমন কারণ ঘটতে পারে যার ফলে হয়তো প্রাচীন প্রণালী প্রয়োগ করার আবশ্যকতা দেখা দেবে।

কিন্তু শিশু মনোবিদ্যা যতই পরীক্ষিত হয়ে বৈজ্ঞানিক সত্যরুপে প্রতিপন্ন হতে থাকবে এবং প্রাথমিক স্কুলের অভিজ্ঞতা যতই সঞ্চিত হতে থাকবে– শিশুর চরিত্রগঠনে নতুন প্রণালী ততই যথার্থভাবে প্রয়োগ করা সহজ হয়ে আসবে।

শিশু যে রকম প্রবৃত্তি ও প্রতিবর্তী নিয়ে জন্মগ্রহণ করে পরিবেশের প্রভাবে তা থেকে নানারূপ অভ্যাস গড়ে তোলা যায় এবং এভাবে তাদের চরিত্রের বৈচিত্র্য সম্পাদন করাও সম্ভব।

অতি শিশুকালই এইরকম শিক্ষার প্রকৃষ্ট সময়; কাজেই এই বয়সে আমাদেরকে বিশেষ যত্তের সাথে শিশুর চরিত্রগঠনের কাজে ব্রতী হতে হবে। যারা বর্তমান জগতের অন্যায় অনাচার জিইয়ে রাখতে চায় তারাই বলবে মানুষের প্রকৃতিকে বদলানো সম্ভব নয়।

তারা যদি বলে যে, শিশুর বয়স ছয় বছর হওয়ার পর তার স্বভাব বদলানো সম্ভব নয় তবে তাদের কথায় কোন সত্যতা আছে বলে আমার মনে হয়না।

অনেকে বলে যে, শিশু যে প্রবৃত্তি ও প্রতিবর্তী নিয়ে জন্মে তার পরিবর্তন সাধন অসম্ভব– এই কথাতেও আমি একমত নই।

যদিও সুপ্রজনন দ্বারা এক্ষেত্রে সুফল লাভের আশা করা বাতুলতা। কিন্তু তারা যখন বলে যে, বর্তমান যুগের সাধারণ মানুষ যেরকম জীবন ও যেরকম অভ্যাসে অত্যন্ত হয়েছে তা থেকে অন্য ধরনের আচরণে অভ্যস্ত মানুষ গড়ে তোলা অসম্ভব, তখন তারা আধুনিক মনোবিজ্ঞানকেই উপেক্ষা করছে।

দুটো শিশু যদি একইরকম চরিত্র অর্থাৎ প্রবৃত্তি ও প্রতিবর্তী এবং অন্যান্য শক্তি নিয়ে জন্মগহণ করে, ভিন্ন রকম পরিবেশ লালিত-পালিত করে তাদেরকে সম্পূর্ণ আলাদা মানসিকতাসম্পন্ন এবং ভিন্নরকম অভ্যাসে অভ্যন্ত বয়ষ্ক ব্যক্তিতে পরিণত করা যায়। বাল্যকালীন শিক্ষার কর্তব্য হলো শিশুর প্রবৃত্তিগুলোকে এমনভাবে শিক্ষা দিয়ে বিকশিত করা– যার ফলে শিশুর চরিত্রের প্রয়োজনীয় গুনগুলো সুসামঞ্জস্যভাবে বর্ধিত হতে পারে।

এরকম শিক্ষার ফলে শিশুর মনোভাব ধ্বংসশীল না হয়ে হবে সজনশ গোপনস্বভাব না হয়ে সে হবে স্নেহশীল, সে হবে সাহসী, সরল এবং বুদ্দিমান। বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই এরকম শিক্ষা দেয়া সম্ভব৷

যেখানে শিশুর উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে সেখানেই প্রকৃতই এরকম ফল পাওয়া যাচ্ছে।

যদি শিশুশিক্ষা সম্পর্কিত আধুনিক জ্ঞান এবং পরীক্ষিত প্রণালী প্রয়োগ করা যায় তবে এক পুরুষকালের মধ্যেই আমরা এমন মানব-সমাজ গড়ে তুলতে পারি যা হবে প্রায়, সম্পূর্ণ রোগমুক্ত, বিদ্বেষমুক্ত এবং মূর্খতামুক্ত। জ্ঞান মানুষকে ধ্বংসকারী প্রবৃত্তি ও আবেগ থেকে রক্ষা করে। জ্ঞান বিনা আমাদের আশার জগৎ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।

আমাদের নির্জ্ঞান মনের গোপন স্তরে কুসংস্কারের ভয় লুকিয়ে থাকে কিন্তু সকল ছেলেমেয়ে যদি নির্ভিক স্বাধীনতার মধ্যে শিক্ষালাভের সুযোগ পায় তবে এক পুরুষকালের মধ্যেই তারা আমাদের অপেক্ষা ব্যাপকতর এবং এক নতুন উদ্দীপনাযুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে পারবে।

আমরা দেখতে পাব না, কিন্তু আমরা যে মুক্ত নর-নারী নতুন শিক্ষাব্যবস্থার ভেতর দিয়ে গড়ে তুলব– তারাই তাদের সৃষ্ট এই নতুন জগৎ দেখতে পাবে।

আমরা যদি শিশুদেরকে ভয় ও দমন থেকে মুক্ত রাখতে পারি, আমরা যদি তাদেরকে বিদ্রোহী ও প্রতিহত প্রবৃত্তিগুলোর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারি– তবে আমরা তাদের কাছে জ্ঞানের রাজ্য সম্পূর্ণ অবারিত করে দিতে পারব। বিজ্ঞতার সাথে শিক্ষা দিলে তখন শিক্ষাগ্রহণ কার্য শাস্তির মত মনে না হনে শিশুর কাছে আনন্দদায়ক হয়ে দীড়াবে।

শিশুকে এখন যে পরিমাণ শিক্ষনীয় বিষয় শেখানো হয় তা অপেক্ষা বেশি শেখানো প্রয়োজন হবে না।

শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের ব্যাপারে মনোভাবের পরিবর্তন সাধনই বিশেষ প্রয়োজন।

শিক্ষা বিষয়টিকে ছাত্র যেন স্থাধীনতার মধ্যে দিয়ে নতুন বিষয় আবিষ্কারের জন্য.আনন্দপ্রদ অভিযান বলে মনে করে। শিক্ষাক্ষেত্রে এরকম ভাবধারা প্রবর্তিত হলে বুদ্ধিমান ছাত্রগণ নিজেদের চেষ্টায় তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চেষ্টা করবে এই বিষয়ে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

অনেকেই বলে থাকেন, শিশুদের প্রতি অত্যাধিক স্ত্রেহ প্রয়োগ শিশুর ভবিষ্যতে উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার অন্তরায়। .

কিন্তু সেই সাথে একথাও সত্য যে, একটি শিশুকে উপযুক্ত স্নেহ এবং ভালবাসা প্রয়োগের মধ্যে দিয়েই শিশুকে সচেতন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। জ্ঞান বিদ্যমান আছে, কিন্তু প্রীতির অভাবের কথা চিন্তা করলে বাস্তবিক অর্থেই নিরাশ হতে হয়।

প্রায় সকল নৈতিক নেতাই এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়। এ সত্ত্বেও শিশুদের প্রতি আমাদের যে স্বাভাবিক প্রীতিবোধ আছে তা ক্রমশ প্রসার লাভ করছে।

সাধারণ নর-নারীর অন্তরে শিশুর প্রতি যে মমতা ও সহানুভূতির প্রকাশ দেখা যায় কয়েক যুগের নিষ্ঠুরতা তা আবৃত করে রেখেছে।

উগ্র জাতীয়তাবোধের উত্তাপে মানবতাবোধ শুকিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে বাংলাদেশের অনেক শিশুই পরবতীতে সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে অপরিসীম বাধার সম্মুখীন হয়েছিল।

সবচেয়ে আগে আমাদের স্বাভাবিক মমত্ববোধকে মুক্তি দিতে হবে। যদি কোন নীতির ফলে শিশুদের উপর অত্যাচার বা দুর্ভোগ প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়– তবে আমাদের কাছে প্রিয় যতই হোক না কেন, সেই নীতি বর্জন করতে হবে। প্রায় সকল ক্ষেত্রে দেখা যায়, নিষ্ঠুর নীতির মনস্তাত্তিক ভিত্তি হল ভীতি।

এজন্যেই বাল্যকালে শিশুর কোমল মন থেকে ভয় দূর করার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আমাদের মনের অন্ধকার গুহায় যে ভয় লুকিয়ে আছে তাকে নির্মূল করতে হবে। ধর্মশিক্ষা একটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিশুদের জন্যে। কিন্তু তাই বলে ধর্মীন্ধ কুসংস্কারযুক্ত যে অন্ধকার মানসিকতা– সেটা শিশুদের কোমল মনে কখনই প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

আধুনিক শিক্ষাধারা যে পরিপূর্ণ জগতের সম্ভাবনা আমাদের সামনে উপস্থাপিত করেছে– সেটা লাভ করতে হলে কিছুটা ব্যক্তিগত বিপদকে আহ্বান করতে হলেও তার জন্যে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

একজন শিশুকে যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে তৈরি করার জন্যে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করা উচিত।

আমরা যারা বড়, অর্থাৎ যাদের উপর একটি শিশুকে সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন সুনাগরিক করে গোড়া তোলার গুরুদায়িত্ব অর্পিত আছে– তারা চিন্তা করে দেখুন, এর ফল কিরকম সুদূরপ্রসারী হতে পারে। আমরা একটু চেষ্টা আর ইচ্ছা করলে এক পুরুষকালের মধ্যেই পৃথিবীতে একটি সুস্থ মানসিকতাসম্পন্ন মানব-মানবী পরিবেষ্ঠিত সচেতন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি।

শিশুর মধ্যে ভবিষ্যতের একজন বয়ষ্ক ব্যক্তির যে সম্ভাবনা নিহিত রয়েছে এটা মনে করে ছোট্ট শিশুর প্রতিও শ্রদ্ধাযুস্ত আচরণ করুন।

আপনার বর্তমান সুবিধার কাছে কিংবা শিশুকে অত্যধিক আদর করে যে আনন্দ পান তার কাছে শিশুর ভবিষ্যৎ বলি দেবেন না। এ দুটোই সমান ক্ষতিকর। এখানেও তেমনই শিশুর শিক্ষাদান ব্যাপারে ঠিক পথে চলতে হলে স্নেহ ও জ্ঞানের মিলন প্রয়োজনীয়।


অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সন্তানের অকারণ লজ্জা, সন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য, সন্তান লালন পালন

আপনার সন্তানের মন থেকে অকারণ লজ্জা দূর করুনঃ সন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য, সন্তান লালন পালন

আলোচ্য বিষয়: (১) সন্তানের মন থেকে অকারণ লজ্জা দূর করা কেন জরুরি? (২) আপনার সন্তানের মন থেকে লজ্জা দূর করার উপায় Read
আদর্শ সন্তান গঠনে মা বাবার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ

আদর্শ সন্তান গঠনে মা বাবার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ?

নিম্নে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে পিতা-মাতার ভূমিকা কতটুকু গরুত্বপূর্ণ, এ বিষয়ে একটি বিস্তর আলোচনা তুলে ধরা হলো- Read
informationbangla.com default featured image compressed

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্যঃ সুখী দাম্পত্য জীবনের ১২টি সুন্নাহ

আলোচ্য বিষয়: (১) স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্যসমূহ (২) কেন স্ত্রীর প্রতি এই কর্তব্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ? (৩) বাস্তব জীবনে এই কর্তব্যগুলো কীভাবে পালন করবেন? (৪) শেষ কথা Read
informationbangla.com default featured image compressed

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার কি কি?

আলোচ্য বিষয়: ইসলামী শরীয়তে দাম্পত্য জীবন একটি পবিত্র বন্ধন। এই সম্পর্কের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সঙ্গে শান্তি, সম্মান এবং ভালোবাসার পরিবেশ তৈরি করে। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার এমন একটি বিষয়, যা ইসলামে বিশেষ গুরুত্ব পায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ১৮টি অধিকার নিয়ে আলোচনা করব, যা ইসলামী শরীয়তের আলোকে প্রতিষ্ঠিত। এই নির্দেশিকা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য এবং তথ্যবহুল হবে, যাতে তারা তাদের দাম্পত্য জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। Read
সন্তানের মন থেকে ভয় দূর করার উপায় বা শিশুর ভয় দূর করার পদ্ধতি, কিভাবে শিশুর মনের ভয় দূর

সন্তানের মন থেকে ভয় দূর করার উপায় বা শিশুর ভয় দূর করার পদ্ধতিঃ কিভাবে শিশুর মনের ভয় দূর করা যায়?

নিম্নে সন্তানের মন থেকে ভয় দূর করার উপায় বা শিশুর ভয় দূর করার পদ্ধতিঃ কিভাবে শিশুর মনের ভয় দূর করা যায়? এ সম্পর্কে এক জন মায়ের বিস্তর একটি আলোচনা/বক্তব্য তুলে ধরা হলো- Read
সন্তানের মন থেকে অকারণ লজ্জা দূর করা কেন জরুরি

সন্তানের মন থেকে অকারণ লজ্জা দূর করা কেন জরুরি?

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে সন্তানের মন থেকে অকারণ লজ্জা দূর করা কেন জরুরি, বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হলো- Read
informationbangla.com default featured image compressed

সন্তানকে কিভাবে মানুষ করবেন?

আলোচ্য বিষয়: সন্তান মানুষ করা কোনো সহজ দায়িত্ব নয়। এটি শুধুমাত্র একটি শিশুকে বড় করে তোলার বিষয় নয়, বরং তার মনের গঠন, চিন্তার কাঠামো এবং নৈতিক ভিত্তিকে এমনভাবে তৈরি করা—যাতে সে সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও হতে পারে আশীর্বাদ। অনেক বাবা-মা আছেন, যারা নিজের অজান্তেই সন্তানকে এমন পথে ঠেলে দেন, যেখানে সে হারিয়ে যায়। আবার অনেকে আছেন, যারা ধৈর্য, জ্ঞান এবং হৃদয়ের সমন্বয়ে গড়ে তোলেন একটি চরিত্রবান প্রজন্ম। এই লেখাটি তাদের জন্য, যারা সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়তে চান, সফল বানাতে নয়। Read
আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কতটা সুস্থ, তা বুঝার ৫টি উপায়

আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কতটা ভালো/সুস্থ? তা বুঝার ৫টি উপায়

আলোচ্য বিষয়: আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কতটা ভালো? আপনাদের রিলেশনশিপ কি সত্যিই সুস্থ, নাকি শুধু চলছে বলে চলছে? এই ব্লগে আমরা এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে সহজ ভাষায় আলোচনা করব, যাতে আপনি বুঝতে পারেন আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবস্থা কেমন। (১) লাভ বা ভালোবাসা: এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের প্রাণ (২) কেয়ার বা যত্ন: এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ (৩) ট্রাস্ট বা বিশ্বাস: এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভিত্তি (৪) রেসপেক্ট বা সম্মান: এটি হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মর্যাদা (৫) রেসপন্সিবিলিটি বা দায়িত্ব: এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভারসাম্য ও ভরসার জায়গা (৬) কেন এই পাঁচটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ? কারণ এগুলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চাবি (৫) শেষ কথা Read
informationbangla.com default featured image compressed

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ সুখী দাম্পত্য জীবনের ১১টি ভিত্তি

আলোচ্য বিষয়: দাম্পত্য জীবন একটি পবিত্র বন্ধন, যেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই পরস্পরের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তবে পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে স্বামীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়ে তুলতে স্বামীর কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে, যা ইসলামী শরিয়ত ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের আলোকে নির্ধারিত। এই ব্লগ পোস্টে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ১১টি দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য ও তথ্যবহুল হবে আশা করি। Read
informationbangla.com default featured image compressed

পরিবারে মা-বাবার রাজনীতি এক নীরব যন্ত্রণা

আলোচ্য বিষয়: পরিবার। এই শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, আর সমর্থনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবতা কি সবসময় এত সরল? অনেকের জীবনেই পরিবার হয়ে ওঠে এক জটিল সম্পর্কের মায়াজাল, যেখানে ভালোবাসার পাশাপাশি চলে মনস্তাত্ত্বিক খেলা, নীরব আঘাত, আর অব্যক্ত যন্ত্রণা। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব পরিবারের এই অগোছালো রাজনীতি নিয়ে—বিশেষ করে পিতামাতা ও সন্তানের সম্পর্কে যে মাইন্ড গেম, সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট, বা ইমোশনাল অ্যাবিউজ চলে, তা নিয়ে। এবং সবশেষে, কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়, সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ। Read