আম চাষের পদ্ধতি ও আম গাছের পরিচর্যা

আম চাষের পদ্ধতি ও আম গাছের পরিচর্যা

বাংলাদেশে যে সব ফল উৎপন্ন হয় তার মধ্যে আদের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। আমের নানাবিধ ব্যবহার, স্থান-গন্ধ ও পুষ্টিমানের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল হিসেবে পরিচিত। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আম গাছের পাতা চির সবুজ, সরল ও কচি পাতা লালচে গোলাপি। যেসব দেশে আম উৎপন্ন হয় তার মধ্যে আছে ভারত, চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আমেরিকা ও আফ্রিকা।

চিত্র- আম
চিত্র- আম

নিম্নে আম চাষের পদ্ধতি ও আম গাছের পরিচর্যাগুলো সুন্দর ও সহজভাবে তুলে ধরা করা হলো-

(১) আম চাষের উপযুক্ত জমি ও মাটি

  • উর্বর দোআঁশ উঁচু ও মাঝারি জমি আম চাষের জন্য উপযোগী।
  • বাগান আকারে আমের চাষ করতে হলে প্রথমে নির্বাচিত জমি ভালোভাবে আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে সমতল ও আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। জমি উত্তমরূপে কর্ষণ করলে গাছের শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
  • মাটি ও আবহাওয়ার কারণে দেশের সব জেলাতে সব জাতের আম হয় না। আমের জন্য মাটির অম্লতা দরকার ৫.৫-৭.০। সুতরাং কাঙ্ক্ষিত জাতটি নির্বাচিত জায়গায় হবে কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে।
  • গভীর, সুনিষ্কাশিত, উর্বর দোআঁশ মাটি আম চাষের জন্য ভালো।
  • বর্ষায় পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে।

(২) আমের চারা রোপণ

  1. জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় (মধ্য মে থেকে মধ্য জুলাই) এবং ভাদ্র-আশ্বিন মাস (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর) আমের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে সেচের সুবিধা থাকলে শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যাবে।
  2. কয়েকবার চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল এবং আগাছামুক্ত করতে হবে।
  3. রোপণ এর দূরত্ব নির্ভর করে আমের জাতের উপর। জাতভেদে আম গাছের রোপণ দূরত্ব ৬ x ৬ মিটার, ১০ × ১০ মিটার x ১২ x ১২ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  4. বর্গাকার, আয়তাকার, ত্রিভুজাকার বা ষড়ভুজাকার যে প্রণালিতে চারা রোপণ করা হোক না কেন, গাছ লাগানোর স্থানটি চিহ্নিত করে বর্ষা শুরুর আগেই সেখানে গর্ত করতে হবে। ষড়ভুজ পদ্ধতিতে আম চারা রোপণ করলে ১৫ ভাগ চারা বেশি রোপণ করা যায়।
  5. সাধারণত মে-জুন মাসে ৭৫-১০০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতায় গর্ত করতে হবে। গর্ত করার সময় গর্তের উপরের অর্ধেক অংশের মাটি এক পাশে এবং নিচের অংশের মাটি অন্য পাশে রাখতে হবে।
  6. গর্ত থেকে মাটি উঠানোর পর ১০ দিন পর্যন্ত গতটিকে রোদে শুকাতে হবে। এরপর প্রতি গর্তে ১০ কেজি গোবর সার, ৫০০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমপি, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট এবং ১০ গ্রাম বোরিক এসিড উপরের অংশের মাটির সাথে মিশিয়ে মাটি ওলট পালট করে পর্ত ভরাট করতে হবে।
  7. গর্ত ভরাটের সময় উপরের অর্ধেক অংশের মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট না হলে প্রয়োজনে পাশ থেকে উপরের মাটি গর্তে নিতে হবে।
  8. সুস্থ-সবল ও রোগমুক্ত চারা রোপণ করলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়। রোপণের জন্য ৪-৫ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন ২-৩টি ডাল বিশিষ্ট চারা নির্বাচন করতে হবে। ২-৩ বছর বয়সী ফাটল/ভিনিয়ার কলমের চারা বাগানে লাগানোর জন্য ভালো।
  9. গর্ত ভর্তি করার ১০-১৫ দিন পর পুনরায় গর্তের মাটি ভালোভাবে ওলট-পালট করে গর্তের মাঝখানে চারাটি সোজাভাবে লাগিয়ে তারপর চারদিকে মাটি দিয়ে গাছের গোড়া সামান্য চেপে দিতে হবে।
  10. চারা রোপণের সময় চারার গোড়ার বলটি যেন ভেঙে না যায় এবং চারার গোড়াটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাটির নিচে ঢুকে না যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  11. রোপণের পর চারাটি খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে। বিকেল বেলায় চারা/কলম রোপণ করা ভালো। রোপণের পর বৃষ্টি না থাকলে কয়েক দিন সেচ দিতে হবে।
পড়ুন
আমের ও জলপাই এর আচারের রেসিপি এবং আচার তৈরি করার পদ্ধতি

(৩) আমের চারা বা কলম তৈরি

  • সরাসরি বীজ বা আঁটি থেকে চারা তৈরি করা যায়। পূর্ণভাবে পাকা ফলের আম থেকে আঁটি সংগ্রহ করে প্রথম বীজতলার মাটিতে বসাতে হবে।
  • বীজতলায় ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে আঁটিগুলো সারি করে বসানোর পর আঁটির উপরে আলগা ঝুরা মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
  • একটা আঁটি থেকে যে চারা গজাবে সে চারাগুলোকে শিকড়সহ সাবধানে কেটে আলাদা করে দ্বিতীয় বীজতলায় টবে বা বড় পলিব্যাগে গোবর মিশানো মাটিতে বসাতে হবে।
  • এক বছর বয়স হলে সে সব চারা বাগানে লাগানোর উপযুক্ত হবে।
  • জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত চারা তৈরির উপযুক্ত সময়।
  • মনে রাখতে হবে যে, আঁটি থেকে প্রাপ্ত গাছ হতে ফল পেতে সাত-আট বছর লেগে যেতে পারে। মাত্র দুই-তিন বছরে ফলন পেতে কলমের চারা গাছ লাগানোই ভালো।
  • কলম করতে চাইলে মাঝারি আকারের গাছ হয় এমন কোনো দেশি জাতের আমের আঁটি থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হবে। তাই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কলম তৈরি করে গাছ রোপণের এক থেকে দুই বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করে।

(৪) আম গাছের সার ব্যবস্থাপনা

আম বাগানে সার প্রয়োগের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি গাছে বছরে কী পরিমাণ সার দিতে হবে তা নির্ভর করে মাটির গুণাগুণের উপর। গাছ বাড়ার সাথে সাথে সারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। 

বছর অনুযায়ী সারের পরিমাণ দেওয়া হলো-

  • রোপণের এক বছর পর ২০ কেজি গোবর সার দিতে হবে। প্রতিবছর বাড়াতে হবে ৫ কেজি করে এবং ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে গাছের ক্ষেত্রে ১২৫ কেজি গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • এভাবেই রোপণের এক বছর পর ইউরিয়া ২৫০ গ্রাম এবং প্রতিবছর বাড়াতে হবে ১২৫ গ্রাম করে। এভাবে ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে গাছের ক্ষেত্রে ২৭৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
  • রোপণের এক বছর পর ১০০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিবছর বাড়াতে হবে ১০০ গ্রাম করে এবং ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে ২১৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
  • রোপণের এক বছর পর ১০০ গ্রাম এমওপি প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিবছর বাড়াতে হবে ১০০ গ্রাম করে এবং ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে ২১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
  • রোপণের এক বছর পর ১০০ গ্রাম জিপসাম দিতে হবে। প্রতিবছর বাড়াতে হবে ৭৫ গ্রাম করে এবং ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে ১৬০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
  • রোপণের এক বছর পর ১০ গ্রাম জিংক সালফেট নিতে হবে। প্রতিবছর বাড়াতে হবে ৫ গ্রাম করে এবং ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে গাছের ক্ষেত্রে ১১০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
  • রোপণের এক বছর পর ৫ গ্রাম বোরিক এসিড দিতে হবে। প্রতিবছর বাড়াতে হবে ২ গ্রাম করে এবং ২০ বছর ও এর ঊর্ধ্বে ৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। 
পড়ুন
আম গাছ লাগানোর নিয়ম ও আম চাষ পদ্ধতি

আম গাছে সার প্রয়োগের পদ্ধতি-

  • সব সার দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করা ভালো। প্রথম অর্ধেক বর্ষার আগে এবং বাকিটা আশ্বিন মাসে অর্থাৎ বর্ষার পরে।
  • ফলন্ত গাছে উড়ি থেকে ২-৩ মিটার দূরত্বে ৩০ সে.মি. প্রশস্ত ও ১৫-২০ সে.মি. গভীর করে চক্রাকার নালা কেটে তার ভিতর রাসায়নিক ও জৈবসার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। অথবা দুপুর বেলায় যতটুকু জায়গায় গাছের ছায়া পড়ে ততটুকু জায়গায় সার ছিটিয়ে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
  • আম বাগানে জৈব পদার্থের ঘাটতি থাকলে ধৈঞ্চার চাষ করতে হবে। এতে বাগানে জৈব পদার্থসহ অন্যান্য সার যোগ হলে মাটির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

(৫) সেচ ব্যবস্থাপনা

  • আম বাগানে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। তবে মাটিতে রস থাকলে সেচের দরকার হবে না।
  • গবেষণায় দেখা গেছে, আম গাছে গোড়ার চারদিকে এক মিটার জায়গা সামান্য উঁচু রেখে দুপুর বেলায় যতটুকু জায়গায় গাছের ছায়া পড়ে ততটুকু জায়গায় একটি থালার মতো করে বেসিন তৈরি করে সেচ দিলে পানির পরিমাণ কম লাগে এবং বেশির ভাগ পানি পাছ গ্রহণ করতে পারে। বেসিন পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হলো গাছের গোড়া পরিষ্কার থাকে, ফলে আগাছা জন্মাতে পারে না।
  • সেচ দেওয়ার পর জায়গাটি কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দিলে মাটিতে এক মাস পর্যন্ত রস থাকবে। তবে আম গাছে ফুল আসার এক মাস আগে সেচ না নেয়াই ভালো। এ সময় সেচ দিলে গাছে নতুন পাতা বের হবে, এতে মুকুলের সংখ্যা কমে গিয়ে ফলন কমে আসবে।
  • ফলন্ত গাছে মুকুল বের হওয়ার ৩-৪ মাস আগে থেকে সেচ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তবে মুকুল ফোটার পর ও ফল মটর দানা হলে একবার বেসিন পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া দরকার।

(৬) আম গাছের বালাই ব্যবস্থাপনা

উইভিল পোকা: গাছে নতুন পাতা বের হলে পাতা কাটা উইভিল পোকা আক্রমণ করতে পারে। কচিপাতার নিচের পিঠে মধ্য শিরার উভয় পাশে স্ত্রী পোকা ডিম পাড়ে। পরে স্ত্রী পোকা ডিম পাড়া পাতাটির বোঁটার কাছাকাছি কেটে দেয়। শেষে গাছটি পাতাশূন্য হয়ে যায়। কর্তিত কচি পাতা মাটি থেকে সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। গাছে কচি পাতা বের হওয়ার ৬ দিন এবং ১২ দিন পর অনুমোদিত কীটনাশক নির্দেশিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। 

পড়ুন
আমের গুটি ঝরা কারণ কি? আমের গুটি ঝরা রোধে করণীয় কি?

পাউডারি মিলডিউ: অনেক সময় পাছে পাউডারি মিলডিউ বা সাদা গুঁড়া রোগ বেশি হয়। ছত্রাকজনিত এ রোগটি মুকুল ও মুকুলের ডাঁটিতে আক্রমণ করে সাদা পাউডারে ঢেকে ফেলে। এতে ফুল ও ছোট ফল পচে নষ্ট হয়, সব ঝরে পড়ে। মুকুল আসার পর থেকে ফল কলাইলানার মতো হওয়া পর্যন্ত এ রোগটি সাধারণত আক্রমণ করে। কুয়াশা হলে রোগটা বাড়ে। রোগের আক্রমণে দানা বেঁধে ও গুটি ঝরে যায়। তাই মুকুল আসার পরপরই ফুল ফোটার আগেই যে কোনো অনুমোদিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।

ফল ছিদ্রকারী পোকা: কাঁচা অবস্থায় আমের মুখ ছিদ্র করে একধরনের পোকা ভিতরে ঢুকে শাঁস ও কচি আঁটি খেয়ে নষ্ট করে দেয়। পাকার সময় আক্রমণ করে ফলের মাছি। ফল ছিদ্র করে শাঁস খেয়ে পাকা আম নষ্ট করে। তাই এসব পোকার আক্রমণ থেকে ফল রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

(৭) আম গাছের পরিচর্যা

গবেষণায় দেখা গেছে, উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে একটু পরিচর্যা বা ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে পারলে ফলন কয়েক গুণ বাড়ানো যায়।

  1. আম সংগ্রহের পর রোগাক্রান্ত ও মরা ডালপালা একটু ভালো অংশসহ ধারালো ছুরি বা করাত দিয়ে কেটে ফেলতে হবে। ডালপালা এমনভাবে ছাঁটাই করতে হবে যেন গাছের ভিতর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে।
  2. গাছের ভিতরমুখী ডালে সাধারণত ফুল ফল হয় না, তাই এ ধরনের ডাল কেটে ফেলতে হবে। বর্ষাকালে কাটা অংশগুলো থেকে নতুন কুশি গজাবে এবং পরের বছরে ঐ নতুন কুশিগুলোতে ফুল আসবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, ডগার বয়স ৫ থেকে ৬ মাস না হলে ঐ ডগায় সাধারণত ফুল আসে না। আগামী বছরে একটি গাছে কী পরিমাণ ফলন আসতে পারে তা আগস্ট মাসেই ধারণা পাওয়া যায়। এ সময়ের মধ্যে গাছে যত বেশি নতুন ডগা গজাবে ততই ভালো।
  3. আম গাছে শতভাগ মুকুল আসা ভালো না। এতে ফলন ব্যাহত হয়। তাই শতভাগ মুকুলায়িত আম গাছের চারদিক থেকে ৫০% মুকুল ফোটার আগেই ভেঙে দিতে হবে। এতে ভাঙা অংশে নতুন কুশি গজাবে এবং পরবর্তী বছরে ঐ সব ডগায় ফুল আসবে, আম আসবে।
  4. গাছের গোড়া আগাছামুক্ত ও গাছের ডালপালা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কলমের গাছের বয়স ৪ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মুকুল ভেঙে দিতে হবে।
পড়ুন
আমের মুকুল আসার পর করনীয়

(৮) বাংলাদেশে আম পাকার সময়

আমের নামপরিপক্বতার সময়
গোবিন্দভোগ, গুলাবখাস২৫ মে এর পর
গোপালভোগ, রানিপ১ জুনের পর
হিমসাগর, ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া১২ জুনের পর
লক্ষ্মণভোগ, হাড়িভাঙ্গা২০ জুনের পর
আম্রপলি, মল্লিকা, ফজলি১ জুলাই থেকে
আশ্বিনা২ জুলাই থেকে

(৯) ফসল তোলা

গাছে আম যখন হলুদাভ রং ধারণ করা শুরু হয় তখন আম পরিপক্ক হয়েছে বলে জানা যায়। জাতভেদ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে আম পাকা শুরু হয়। আম পাকানোর জন্য কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য স্প্রে করার দরকার হয় না। জালিযুক্ত বাঁশের কোঁটার সাহায্যে আম সংগ্রহ করলে তা অক্ষত থাকে এবং সংরক্ষণ সময় বৃদ্ধি পায়।

(১০) বাজারজাত করণ

আমাদের দেশে বেশ কিছু আমের জাত ল্যাংড়া, খিরসাপাতি, হিমসাগর, ফজলী, গোপালভোগ ও বোম্বাই) রয়েছে যেগুলো রঙিন না হলেও স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা বেশি। বিদেশের বাজারে রঙিন ও হালকা মিষ্টি আমের চাহিদা বেশি।

আমের বাজারজাত করা হবে কোথায় তা নির্ধারণ করে বাগান তৈরি করতে পারলে লাভবান হওয়া যায় বেশি। আবার প্রতিবছর ফল পাওয়া যায় এমন জাতের বাগান করতে পারলেও বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় ও নিজস্ব পুষ্টিচাহিদাও পুরণ হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিবছর ফল দিতে সক্ষম এমন কয়েকটি জাত উদ্ভাবন করছে। জাতগুলো হলো বারি আম-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮। এ জাতের চারা দিয়ে বাগান করলে ভালো ফলন, পুষ্টিচাহিদা পূরণের পাশাপাশি লাভবান হওয়া যায়।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কদবেল চাষ পদ্ধতি ও গাছের পরিচর্যা

কদবেল চাষ পদ্ধতি ও গাছের পরিচর্যা

আলোচ্য বিষয়: (১) কদবেল এর জাত পরিচিতি (২) কদবেল চাষ পদ্ধতি ও গাছের পরিচর্যাসমূহ
জামরুল ফল চাষের পদ্ধতি

জামরুল ফল চাষের পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) জামরুল ফলের জাত পরিচিতি (২) জামরুল ফল চাষের পদ্ধতি
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) স্ট্রবেরি ফল (২) স্ট্রবেরির উপকারিতা (৩) স্ট্রবেরির চাষযোগ্য জাতসমূহ (৪) বারি স্ট্রবেরি-১ স্ট্রবেরি গাছ এর বৈশিষ্ট্য (৫) স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি (৬) স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায়?
গাছে কলম করার পদ্ধতি (ছবিসহ আধুনিক কলম পদ্ধতি বর্ণনা)

গাছে কলম করার পদ্ধতি (ছবিসহ আধুনিক কলম পদ্ধতি বর্ণনা)

আলোচ্য বিষয়: নিচে উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিতে গাছে কলম করার পদ্ধতি/ছবিসহ আধুনিক কলম পদ্ধতির বর্ণনা তুলে ধরা হলো- (১) অঙ্গজ চারা উৎপাদন ক) গাছে ‘কর্তন বা ছেল কলম’ করার পদ্ধতি খ) গাছে ‘দাবা কলম’ করার পদ্ধতি গ) গাছে ‘জোড় কলম’ করার পদ্ধতি (২) কাণ্ড থেকে নতুন চারা তৈরি পদ্ধতি ক) গাছে ‘শাখা কলম বা কাটিং’ করার পদ্ধতি খ) গাছে ‘গুটি কলম’ করার পদ্ধতি গ) বিযুক্ত জোড় কলম ঘ) আম গাছে ‘ক্লেফট গ্রাফটিং’ কলম করার পদ্ধতি
পেয়ারা গাছের পরিচর্যা, পেয়ারা গাছের বৈশিষ্ট্য ও পেয়ারা চাষ পদ্ধতি

পেয়ারা গাছের পরিচর্যা, পেয়ারা গাছের বৈশিষ্ট্য ও পেয়ারা চাষ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে (৬ ধরণের) পেয়ারা গাছের পরিচর্যা, যেমন- ডাল-পালা ছাঁটাই, ব্যাগিং পদ্ধতির প্রয়োগ, সেচ প্রদান,সার ব্যবস্থাপনা, শাখা ছাঁটাই ও ফল ছাঁটাই ইত্যাদি বিষয় সুন্দর ও সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি আলোচনাটি শেষ অবধি মনযোগের সাথে অধ্যয়ন করলে এটি দ্বারা আমাের অনেক প্রকৃতি ও গাছ প্রেমী ভাই/বোনেরা উপকৃত হবেন। চলুন শুরু থেকে শুরু করি- (১) পেয়ারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় (২) পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা (৩) পেয়ারার জাত (৪) পেয়ারা চাষের উপযুক্ত পরিবেশ (৫) ছাদে/টবে পেয়ারা চাষের পদ্ধতি (৬) জমিতে পেয়ারা চাষের পদ্ধতি (৭) পেয়ারা গাছের পরিচর্যা
আনারস চাষ পদ্ধতি

আনারস চাষ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) বাংলাদেশে আনারসের চাষ (২) আনারস চাষ পদ্ধতি
পেয়ারা চাষ ও পেয়ারা গাছের পরিচর্যা

পেয়ারা চাষ ও পেয়ারা গাছের পরিচর্যা

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে পেয়ারা চাষ ও পেয়ারা গাছের পরিচর্যা পদ্ধতি তুলে ধরা হলো- (১) পেয়ারার জাত (২) পেয়ারা চাষে জলবায়ু ও মাটি (৩) পেয়ারা গাছের বংশবিস্তার (৪) পেয়ারা চাষে জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ (৫) পেয়ারা গাছের চারা রোপন (৬) পেয়ারা গাছের পরিচর্যা (৭) পেয়ারা আহরণ (৮) পেয়ারার ফলন
আম চাষের পদ্ধতি ও আম গাছের পরিচর্যা

আম চাষের পদ্ধতি ও আম গাছের পরিচর্যা

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে আম চাষের পদ্ধতি ও আম গাছের পরিচর্যাগুলো সুন্দর ও সহজভাবে তুলে ধরা করা হলো- (১) আম চাষের উপযুক্ত জমি ও মাটি (২) আমের চারা রোপণ (৩) আমের চারা বা কলম তৈরি (৪) সার ব্যবস্থাপনা (৫) সেচ ব্যবস্থাপনা (৬) বালাই ব্যবস্থাপনা (৭) আম গাছের পরিচর্যা (৮) বাংলাদেশে আম পাকার সময় (৯) ফসল তোলা (১০) বাজারজাত করণ
কাঁঠাল চাষে সেচ পদ্ধতি

কাঁঠাল চাষে সেচ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে কাঁঠাল চাষে সেচ পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো-
পেয়ারা চাষের পদ্ধতি ও নিয়মসমূহ

পেয়ারা চাষের পদ্ধতি ও নিয়মসমূহ

আলোচ্য বিষয়: (১) পেয়ারার জাতের নাম পরিচিতি (২) পেয়ারা চাষের পদ্ধতি ও নিয়ম বর্ণনা (৩) পেয়ারা চাষে রোগ-বালাই দমন ব্যবস্থাপনা