খামার রেজিস্ট্রেশন করবেন কিভাবে? খামার রেজিস্ট্রেশন এর সুবিধা কি? গরুর, ছাগলের, ভেড়ার খামার নিবন্ধন

খামার রেজিস্ট্রেশন করবেন কিভাবে, খামার রেজিস্ট্রেশন এর সুবিধা কি
আলোচ্য বিষয়:

আজকে আমরা খামার রেজিস্ট্রেশন এর সুবিধা/খামার নিবন্ধন ফরম, খামার নিবন্ধন সুবিধা, খামার রেজিস্ট্রেশন ফরম, খামার রেজিস্ট্রেশন ফি/খামার নিবন্ধন ফি প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করব।

আপনার গরু, ছাগল, ভেড়া বা অন্যান্য প্রাণির খামার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে নিবন্ধন ফিসহ এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে পারেন।

(১) খামার রেজিস্ট্রেশন এর সুবিধা কি?

১। পশুরোগ আইন ২০০৫ এর ধারা ১৬ অনুসারে নিবন্ধন ব্যতীত কোন ব্যক্তি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গবাদিপশু ও হাস- মুরগীর খামার স্থাপন ও পরিচালনা করিতে পারিবেন না।

২। সরকারী অনুদান/প্রণোদনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

৩। প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সেবাসমূহ যেমন -প্রশিক্ষণ, টিকা, নিয়মিত পরিদর্শন, পরামর্শ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

৪। ব্যাংক থেকে কৃষি খণ গ্রহনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিগার পাবেন। অপরদিকে, রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও আপনি লোন পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে গবাদিপশু পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নিকট থেকে খামারী হিসেবে প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হবে। এছাড়া আপনি ব্যাংকে যোগাযোগ করে আনুষিাঙ্গিক কাগজপত্র বিষয়ে জানতে পারবেন।

পড়ুন
কৃষি খামার কি? কৃষি খামার কাকে বলে? খামার কত প্রকার? কৃষি খামারের প্রকারভেদ এবং খামারের কার্যাবলী, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, পরিকল্পনা

৫। আপনার খামার নিবন্ধিত থাকলে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা আপনার খামার সম্পর্কে অবগত থাকবেন এবং বিভিন্ন সময় আপনার খামারে পরিদর্শনে আসবেন।

৬। আপনার খামার রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে, সরকার কর্তিক খামারিদের দেওয়া সকল প্রণদনা, অনুদান, সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

৭। সর্বপরি, আপনার উপজেলার প্রাণীসম্পদ অফিসের ডাক্তারদের সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি থাকবে, এত করে বিপদের সময় সহজেই আপনি পরামর্শ ও চিকিৎসা পেয়ে থাকবে।

সরকারের কাছ থেকে খামার চালানোর জন্য খমার রেজিস্ট্রেশন ও ডেইরি ব্যাবসা পরিচালনা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া থাকলে। কম্পানির কাছে দুধ বিক্রি করতে যেমন: প্রাণ, মিল্কভিটা ইত্যাদি, জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য অথবা অন্যান্য কাজে এগুলো প্রয়োজন হতে পারে।

(গরুর খামার রেজিস্ট্রেশন করতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ২০ টি গাভী থাকতে হবে।)

(২) আপনার ফার্ম বা খামার রেজিস্ট্রেশন কিভাবে করবেন?

খামার রেজিস্ট্রেশনের  দুটি উপায়ে আবেদন করা যায়। যথা-

১। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে সরাসরি গিয়ে সরাসরি ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আবেদন

২। অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে, অনলাইনেই আবেদন।

(বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনকে সময় সরাসরি অফিসে গিয়েও কাজ হয়না, সেখানে অনালাইনে আবেদন করে কাজ হবে তা আশা করা কল্পনার বাহিরে, তাই সরাসরি অফিসে গিয়ে সরাসরি আবেদন করাই উত্তম। তবে এখানে আমি অনলাইন প্রক্রিয়াটিও ব্যাখ্যা করব।)

(৩) সরাসরি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে কিভাবে আবেদন করবেন?

ফর্মে আবেদন করতে হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে খামার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনি গেলে সেখান থেকে তারা একটি আবেদন ফর্ম দিবে। ফর্মটা পূরণ করে আপনার খামারে  প্রাণি সংখ্যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে ব্যাংকে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে চালান এর কপিটা প্রাণিসম্পদ অফিসে জমা দিলেই আপনার কাজ শেষ।

ফর্মটি এই এখান “CLICK” করেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন: https://drive.google.com/file/d/1SYnEQDFVL3HV6ToUp6uEMVj87QcMqLm5/view?usp=sharing

(৪) অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন?

খামার নিবন্ধন ফর্ম ডাইনলোড
খামার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ডাউনলোড

১। অনলাইন আবেদন করার ক্ষেত্রে ই-ফর্ম পূরণের জন্য https://www.forms.gov.bd এ গিয়ে ‘মৎস ও প্রাণীর বিভাগ’ থেকে ই-ফর্ম সিলেক্ট করুন। তারপরে একটি তালিকা খুলবে সেখান থেকে ‘নিবন্ধন ফরম (প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর’ লেখাতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার খামার রেজিস্ট্রেশনের আবদন ফর্মটি দেখাবে।

পড়ুন
খামারের মশা তাড়ানোর উপায়? আপনার ফার্ম থেকে কিভাবে মশাকে দূরে রাখবেন? গরুর ছাগলের ভেড়ার খামার

২। প্রয়োজন হলে আবেদন ফরমে ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করুন এবং যে সব কাগজপত্র আবেদনের সাথে দেওয়া  প্রয়োজন সেগুলো “সংযুক্ত” অপশনে ক্লিক করে আপলোড করুন।

৩। ‘অফিস বাছাই করুন’ অপশন হতে আবেদনটি যে অফিসে পাঠাতে চান সেই অফিস নির্বাচন করুন।

৪। আবেদন ফরমের লাল তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

৫। আবেদনের সময় পেমেন্ট বিষয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করুন।

৬। এরপর ‘প্রেরণ’ বাটনে ক্লিক করবেন। “আপনার আবেদনটি সফলভাবে প্রেরণ করা হয়েছে” মর্মে একটি বার্তা আসবে।

৭। আপনি আবেদন প্রেরণ না করা পর্যন্ত আপনার সিস্টেমে তা খসড়া হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। পরবর্তীতে তা আপনি প্রেরণ করতে পারবেন।

৮। আবেদন প্রেরণের পর আপনি একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাবেন। এটি সংরক্ষণ করুন। পরবর্তীতে “আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” বাটনে ক্লিক করে এই নম্বরটি দিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে পারবেন।

নোট: অসতর্কতার জন্য কোন ভুল অথবা অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না তা্কই প্রেরণ বাটনে ক্লিক করার পূর্বে ভালো করে যাচাই করে নিবেন। প্রতিটি ধাপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করবেন।

অনেক সময় এই সরকারি সাইটি ডাউন থাকে। আমি নিজে চেষ্টা করেছি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার কিন্তু শেষ অবধি পারিনি, সার্ভার ডাউন দেখায়! তবে আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

সরকারি ওয়েবসাইট যেকোন সময় পরিবর্ত পরিবর্ধন হতে পারি। আমি যখন পোষ্টটি লিখল তখন যেই পদ্ধতিতে অনলাইন আবেদন করা যাচ্ছে, আপনি যদি চেষ্টা করবে তখন সেভাবে নাও দেখাতে পারে, পদ্ধতি চেঞ্জ হতে পারে।

(৫) অনলাইনে বা সরাসরি আবেদন করার পর কি করতে হবে?

১। অনলাইনে বা সরাসরি পূরণকৃত ফর্ম এবং টাকা জমাদানের চালান এর কপি প্রাণিসম্পদ অফিসে জমা হবে।

২। এর পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আপনার আবেদনটি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠানো হবে।

পড়ুন
খামারের মশা তাড়ানোর উপায়? আপনার ফার্ম থেকে কিভাবে মশাকে দূরে রাখবেন? গরুর ছাগলের ভেড়ার খামার

৩। জেলা প্রাণিসম্পদ থেকে পরিদর্শনের জন্য আবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এ পাঠানো হবে।

৪। উপজেলা থেকে আপনার ফার্ম পরিদর্শনের করে রিপোর্ট সহ পূণরায় জেলাতে যাবে, জেলাতে নিবন্ধিত হয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ফেরত আসলেই আপনি আপনার রেজিস্ট্রেশন নাম্বারসহ কপি পেয়ে যাবেন।

নোট: এ প্রক্রিয়ায় ১/২ মাস সময় লেগে যেতে পারে, কিন্তু আপনাকে কিছুই করতে হবে না।

(৬) ফার্ম রেজিস্ট্রেশন খরচ কত লাগবে?

খামার রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন ফি-এর সরকার নির্ধারিত একটি তালিকা রয়েচে তালিকা রয়েছে।

নিম্নে খামারের ধরণ ও, খামারের গবাদিপশুর সংখ্যা অনুসারে রেজিস্ট্রেশন ফি ও নবায়ন ফি (এক বছরের জন্য) তুলে ধরা হলো-

ক) দুগ্ধ খামার (গরু) 

এ-শ্রেণী  (৫১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (২১ থেকে ৫০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১৫০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১১ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (০৩ থেকে ১০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

খ) দুগ্ধ খামার (মহিষ) 

এ-শ্রেণী (৫১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (২১ থেকে ৫০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১১ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেনী (০৩ থেকে ১০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

গ) হৃষ্টপুষ্ট খামার (গরু)

এ-শ্রেণী (৫১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (২১ থেকে ৫০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১৫০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১১ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (০৩ থেকে ১০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

পড়ুন
কৃষি খামার কি? কৃষি খামার কাকে বলে? খামার কত প্রকার? কৃষি খামারের প্রকারভেদ এবং খামারের কার্যাবলী, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, পরিকল্পনা

ঘ) হৃষ্টপুষ্ট খামার (মহিষ)

এ-শ্রেণী (৫১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (২১ থেকে ৫০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১১ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (০৩ থেকে ১০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

ঙ) ছাগলের খামার 

এ-শ্রেণী (৬১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (8১ থেকে ৬০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৩,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৮০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (২১ থেকে 8০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেনী (০৫ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

চ) ভেড়ার খামার 

এ-শ্রেণী (৬১  বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (8১ থেকে ৬০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৩,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৮০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (২১ থেকে 8০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (০৫ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

ছ) শুকরের খামার 

এ-শ্রেণী (৬১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (8১ থেকে ৬০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৮০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১৬০ টাকা।

সি-শ্রেণী (২১ থেকে ৪০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০০ টাকা।

ডি-শ্রেনী (০৫ থেকে ২০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০ টাকা।

জ) মুরগির জি.পি. খামার 

শ্রেণী নির্বিশেষ: রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২৫,০০০ টাকা।

ঝ) হ্যাচারি (ব্রিডার ফার্মের বাহিরে অবস্থিত)

শ্রেণী নির্বিশেষ: রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০,০০০ টাকা।

পড়ুন
খামারের মশা তাড়ানোর উপায়? আপনার ফার্ম থেকে কিভাবে মশাকে দূরে রাখবেন? গরুর ছাগলের ভেড়ার খামার

ঞ) মুরগির প্যারেন্ট ষ্টক (ব্রিডার ফার্মি অবস্থিত হ্যাচারিসহ)

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১৫,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০,০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,০০০ টাকা।

ঠ) মুরগির খামার (লেয়ার)

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৩০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,০০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ড) মুরগির খামার (ব্রয়লার) 

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১০,০০০ টাকা।

বি-শ্রেনী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫,০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,০০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ঢ) মুরগির খামার (সোনালি) 

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

ণ) কোয়েল খামার 

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২৫০০ টাকা।

বি-শ্রেনী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,৫০০ টাকা।

পড়ুন
কৃষি খামার কি? কৃষি খামার কাকে বলে? খামার কত প্রকার? কৃষি খামারের প্রকারভেদ এবং খামারের কার্যাবলী, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, পরিকল্পনা

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০০  টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০ টাকা।

ত) হাঁসের (Duck) খামার

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫,০০০ টাকা।

বি-শ্রেণী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,০০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা।

থ) রাজহাঁস (Swan) খামার

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,৫০০ টাকা।

বি-শ্রেনী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৭০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০ টাকা।

দ) তিতির খামার 

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্দ্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০১০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১৫০০ টাকা।

বি-শ্রেনী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৭০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০ টাকা।

ধ) টার্কি খামার

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,২৫০০ টাকা।

বি-শ্রেনী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৭০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ২,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০ টাকা।

ন) কবুতর খামার 

এ-শ্রেণীর (২০,০০১ বা তদুর্ধে): রেজিস্ট্রেশন ফি ২০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫,০০০ টাকা।

পড়ুন
খামারের মশা তাড়ানোর উপায়? আপনার ফার্ম থেকে কিভাবে মশাকে দূরে রাখবেন? গরুর ছাগলের ভেড়ার খামার

বি-শ্রেনী (১০,০০১ থেকে ২০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৩,০০০ টাকা।

সি-শ্রেণী (১,০০১ থেকে ১০,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,৫০০ টাকা।

ডি-শ্রেণী (১০১ থেকে ১,০০০): রেজিস্ট্রেশন ফি ৫,০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ১,০০০ টাকা।

(বিঃদ্রঃ নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমাদানের কোড- ১৪৪০৪০১১২৩৭৫৪-১৪২২২০২। বিদ্যমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন ফি-এর সাথে অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট বা মূসক প্রযোজ্য। ভ্যাট বা মূসক জমাদানের কোড- ১১১০২০৪১০২০১৪-১১৪১১০১।)

অনেকে “খামার রেজিস্ট্রেশন” ঝামেলাপূর্ণ অপ্রয়োজনীয় বিষয় ভাবেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ খামারি জানেনইনা কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবে। বাংলাদেশের বাস্তবতাই খামার রেজিস্ট্রেশন বলের আর অন্য কোন সরকারি কাজ বলেন প্রক্রিয়াটা কিন্তু খুবই জটিল। এ ব্যাপারে আপনারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে সহযোগিতা নিতে পারেন। কাজেই আপনারা যারা এখনো খামার রেজিস্ট্রেশন করেননি, তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস গিয়ে আপনার ফার্মকে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারেন আজকেই।

[তথ্য সূত্র: অর্থ বিভাগের স্মারক নং- ০৭.০০,০০০০.১৪৫.২২.০০৩.২১-৬৪; তারিখ- ১৬/০৫/২০২৩ খ্রি. এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্মারক নং- ৩৩.০১.০০০০.১১৮.০৭.০১৯.০-১৯৫; তারিখ- ৩১/০৫/২০২৩ খ্রি. অনুসারে]

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ছাগল পালন পদ্ধতি সম্পর্কিত এক কথায় প্রশ্নত্তোর আর্টিকেল (খন্ড ১)

ছাগল পালন পদ্ধতি সম্পর্কিত এক কথায় প্রশ্নত্তোর (খন্ড-১)

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে ছাগল পালন পদ্ধতি সম্পর্কিত এক কথায় প্রশ্নত্তোর সম্বলিত আর্টিকেল এর (খন্ড-১) উপস্থাপন করা হলো। এই খন্ডে প্রায় ১০০+ প্রশ্নোত্তর রয়েছে। যথা-
ঘাসের উন্নত জাত পরিচিত এবং ঘাস উৎপাদন চাষ পদ্ধতি

ঘাসের উন্নত জাত পরিচিত এবং ঘাস উৎপাদন চাষ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) নেপিয়ার ঘাসের জাত পরিচিত এবং ঘাস উৎপাদন চাষ পদ্ধতি (২) জার্মান ঘাসের জাত পরিচিত এবং ঘাস উৎপাদন চাষ পদ্ধতি (৩) জাম্বু ঘাসের জাত পরিচিত এবং ঘাস উৎপাদন চাষ পদ্ধতি
সাবধান, এই জিনিসগুলি আপনার গরুর ফিডে মেশানো হতে পারে

সাবধান! এই জিনিসগুলি আপনার গরুর ফিডে মেশানো হতে পারে

আলোচ্য বিষয়: কিভাবে গরুর ফিডে ভেজাল হতে পারে?
গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা, গর্ভবতী গাভীর যত্ন, গাভীর বাচ্চা প্রসবের লক্ষণ, বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে গাভীর যত্ন এবং গাভীর বাচ্চা হওয়ার পর করণীয়

গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা, গর্ভবতী গাভীর যত্ন, গাভীর বাচ্চা প্রসবের লক্ষণ, বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে গাভীর যত্ন এবং গাভীর বাচ্চা হওয়ার পর করণীয়

আলোচ্য বিষয়: (১) গাভীর বাচ্চা কত দিনে হয়? গাভীর গর্ভকালীন সময় কতদিন? (২) গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা (৩) গর্ভবতী গাভীর যত্ন (৪) গাভীর বাচ্চা প্রসবের লক্ষণ (৫) বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে গাভীর যত্ন (৬) গাভীর বাচ্চা হওয়ার পর করণীয়
১৫টি উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায় ও বর্ণনা, দুগ্ধবতী গাভী চেনার উপায়

১৫টি উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায় ও লক্ষণসমূহ

আলোচ্য বিষয়: (১) উন্নত জাতের গাভী চেনার লক্ষণসমূহ (২) উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায়
গরু পালন পদ্ধতি, পরিচর্যা, গোয়ালঘর, খাদ্য, রোগ পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা

গরু পালন পদ্ধতি, পরিচর্যা, গোয়ালঘর, খাদ্য, রোগ পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা

আলোচ্য বিষয়: (১) গরু পালন পদ্ধতি (২) গরুর পরিচর্যা (৩) গরু পালনের জন্য একটি আদর্শ গোয়াল ঘর (৪) গরুর খাদ্য ব্যবস্থাপনা (৫) গরুর বিভিন্ন প্রকার রোগ পরিচিতি (৬) গরুর রোগ ব্যবস্থাপনা
ছাগলের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের মাত্রা ও ব্যবহারবিধি

ছাগলের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের মাত্রা ও ব্যবহারবিধি

আলোচ্য বিষয়: ছাগলের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের মাত্রা ও ব্যবহারবিধি নিচে দেয়া হলো। তবে মনে রাখতে হবে যে, কোনো প্রকার চিকিৎসা বা প্রতিষেধক দিতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক দিতে হবে।
সদ্য জন্ম নেওয়া ছাগলের বাচ্চার পরির্চযা কিভবে করতে হয়

সদ্য জন্ম নেওয়া ছাগলের বাচ্চার পরির্চযা কিভবে করতে হয়? ছাগলের বাচ্চার যত্ন

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে সদ্য জন্ম নেওয়া ছাগলের বাচ্চার পরির্চযা কিভবে করতে হয়, তা তুলে ধরা হলো-
গবাদি পশুর পুষ্টি উপাদান সমূহ

গবাদি পশুর পুষ্টি উপাদান সমূহ

আলোচ্য বিষয়: নিচের ছকে গবাদি পশুর পুষ্টি উপাদান সমূহের নাম, পুষ্টির উৎস ও পুষ্টির কার্যকারিতা দেখানো হলো-
পশু-পাখির খাবার পানি

পশু-পাখির খাবার পানি

আলোচ্য বিষয়: (১) পশু-পাখির জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা (২) গৃহপালিত পশু-পাখির খাবার পানির উৎস (৩) পশু-পাখির দেহে পানির কাজ (৪) পশু-পাখির পানির ঘাটতিজনিত সমস্যা