ভাসমান বেডে ফসল চাষের পদ্ধতি

ভাসমান বেডে ফসল চাষ এর পদ্ধতি

নিম্নে ভাসমান বেডে ফসল চাষের পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-

(১) ভাসমান বেডে ফসল চাষের ইতিহাস

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজন কৌশল হিসেবে বাংলাদেশের ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি ও মশলা উৎপাদন পদ্ধতি জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। বন্যা ও জলাবদ্ধ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশল হিসেবে ভাসমান ধাপে সবজি ও মশলা চাষ একটি লাগসই প্রযুক্তি।

ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ পদ্ধতিতে নিচু, পতিত, জলমগ্ন, খাল, হাওড় বা হ্রদে অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনা যায়।

কচুরিপানায় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের পরিমাণ পচা গোবর বা কম্পোস্ট অপেক্ষা বেশি থাকে। তাই কম পরিমাণে রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে ভাসমান বেডে জৈব পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব ফসল উৎপাদন করা যায়। এ পদ্ধতিতে একই জমিতে পরিকল্পিতভাবে মাছ, সবজি ও মশলা চাষ করা যায়।

জলাবদ্ধ এলাকায় গরিব কৃষকদের আয় বাড়ে এবং সারা বছর কাজের সুযোগ তৈরি হয়। মৌসুম শেষে ধাপ পচিয়ে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার উৎপাদন করা যায়। এসব জৈব সার জমিতে ব্যবহার করে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করা যায়।

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কৃষকরাই প্রথম ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন প্রায় দেড়শ বছর আগে। বিল এলাকা হওয়ায় নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী ও দোবড়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমি পানিতে ডুবানো থাকত। বছরের পর বছর জুড়ে পতিত এ জমিতে কচুরিপানা, দুলালীবন, শেওলা ও ফেনা ঘাসে ভরা থাকত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় কৃষকরা সম্মিলিত উদ্যোগে জমির পানিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা, শেওলা, দুলালীবন পচিয়ে সারি সারি কান্দি (আইল) তৈরি করে তার উপর ফসল চাষের চেষ্টা করে সফল হন। ইতিমধ্যে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেশের বন্যা ও জলাবদ্ধপ্রবণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

(২) ভাসমান বেডে বা ধাপে ফসল চাষের উপকারিতা

ভাসমান বেডে ফসলের উৎপাদন খরচ কম। সারা বছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যখন সবজি চাষের জমি পানিতে তলিয়ে যায় অথবা বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে সমতল ভূমিতে সবজি চাষ করা যায় না তখন ভাসমান বেডে সবজি চাষ করা যায় এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও মৌসুমি বন্যায় ভাসমান বেডের ফসলের তেমন ক্ষতি হয় না এ কারণে বন্যা এলাকায় আগাম সবজির চারা তৈরি করা যায় এবং বন্যায় আমন ধানের চারা তৈরি করা যায়।

(৩) ভাসমান বেড তৈরির স্থান নির্বাচন

ঘন কচুরিপানা আছে এমন সব হাওর, বিল, খাল, মজা পুকুর যেখানে বছরের ৬ মাস বা তারও বেশি সময় পানি জমে থাকার কারণে ফসল চাষ করা সম্ভব হয় না; এমন স্থান ভাসমান বেড তৈরির জন্য নির্বাচন করতে হবে।

(৪) ভাসমান বেডের আকার

ভাসমান বেডের দৈর্ঘ্য জমির দৈর্ঘ্য অনুযায়ী করতে হয়। বেডের গ্রন্থ বা চওড়া এবং উচ্চতা ১.২৫ মিটার হবে। ভাসমান বেডের উপর উঠা যাবে না, ছোট নৌকা বা ভেলার সাহায্যে পাশে থেকে বীজ বপন/চারা রোপণ, কালের পরিচর্যা ও ফসল সংগ্রহ করার জন্য বেডের চওড়া ১.২৫ মিটার রাখা ভালো।

বেডের পুরুত্ব কাঁচা অবস্থায় ১.৫০ মি. রাখা ভালো। বেডের পুরুত্ব যত বেশি হয় বেডের স্থায়িত্ব তত বেশি হয়; পাশাপাশি দুইটি বেডের দূরত্ব ১.২৫ মিটার রাখতে হয়। এতে ছোট নৌকা বা ভেলা দিয়ে দুই বেডের মাঝখানে সহজে আসা যাওয়া করা যায় এবং ভাসমান বেডে লাগানো সবজি ও মশলার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা যায় এবং ফল কর।

(৫) ভাসমান বেড (ধাপ) তৈরির উপকরণ

ভাসমান বেড তৈরির প্রধান উপকরণ কচুরিপানা। এছাড়া টোপাপানা, শেওলা, বিভিন্ন ধরনের জলজ আগাছা, ধানের খড় বা ফসলের অবশিষ্টাংশ, আখের ছোবড়া ব্যবহার করে এ ভাসমান বেড তৈরি করা যায়।

পূর্ণতাপ্রাপ্ত গাঢ় সবুজ রঙের বড় ও লম্বা কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করা হলে বেডের স্থায়িত্ব বেশি হয়। বেডের আয়তনের ৫ (পাঁচ) গুণ ভারগার কচুরিপানা ব্যবহার করে বেড তৈরি করতে হয়।

এছাড়া ভাসমান থেকে চারা তৈরি করার জন্য পচা কচুরিপানা, সোনা শেওলা, টোপাপানা, দুলালীলতা, কথার ডাস্ট (নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া, খড় ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।

চিত্র- ভালমান বেড তৈরির জন্য স্থান নির্বাচন
চিত্র- ভালমান বেড তৈরির জন্য স্থান নির্বাচন

(৬) ভাসমান বেড (ধাপ) তৈরির সময়

বর্ষার শুরুতে যখন কচুরিপানা দ্রুত বংশ বিচার শুরু করে। আষাঢ় শ্রাবণ (মধ্য জুন-মধ্য আগস্ট) মাসে এই ভাসমান বেড তৈরি করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

জোয়ার-ভাটা এলাকার, মজা পুকুরে, হাওর এলাকায় সারা বছর ভাসমান বেড তৈরি করে সবজি আবাদ করা যায়। এলাকা ভেদে জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত বেড তৈরি করা যায়।

এছাড়া কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে কচুরিপানা আবদ্ধ থাকলে সেই কচুরিপানা ও অন্যান্য জলজ আগাছা, ধানের খড়, ফসলের অবশিষ্টাংশ, শেওলা প্রভৃতি স্তূপ করে শুকনা স্থানে বেড তৈরি করে রাখা হয়। এগুলো পরবর্তী মৌসুমে পানি আসার সাথে সাথে এগুলো ভেসে উঠে এবং সবজি ও মশলা চাষের উপযুক্ত হয়।

মৌসুম শেষে পানির স্তর নেমে যাওয়ার বেড যদি মাটির উপর বসে যায় তবে তা ভেঙে জমিতে বিছিয়ে কোনো প্রকার চাষ, মই, সার ছাড়াই সফলভাবে শীতকালীন সবজি ও মশলা উৎপাদন করা যায়।

(৭) ভাসমান বেড তৈরির পদ্ধতি

ভাসমান বেড তৈরির জন্য পানির গভীরতা কম হলে পানিতে দাঁড়িয়ে পাশ থেকে কচুরিপানা ও অন্যান্য আগাছা সংগ্রহ করে বেড তৈরি করতে হয়। পানির গভীরতা বেশি হলে নির্বাচিত খন কচুরিপানার উপরে বাঁশ ফেলতে হয়। এরপর বাঁশের উপর দাঁড়িয়ে বাঁশের চারপাশ থেকে কচুরিপানা টেনে এনে জড়ো করে ভাসমান বেড তৈরি করতে হয়।

বেড তৈরি শেষে বাঁশ বের করে নেওয়া যায়, তবে ভাসমান বেডকে শক্তিশালী করা এবং ভেসে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাঁশ রেখে দেওয়া ভালো।

বেডের স্থায়িত্ব নির্ভর করে ১ম ভরের উপর। বেডের ১ম স্তরে যদি ঘন, লম্বা ও পুরু কচুরিপানা ব্যবহার করা হয় তাহলে বেডের স্থায়িত্ব বেশি হয়। বেড তৈরির ২/৩ অংশ শেষ হলে উপরের দিকের ১/৩ অংশের কচুরিপানার শিকড় উপরের দিকে এবং কাগুগুলো নিচের দিক করে আছে আছে গ্রন্থ থেকে দৈর্ঘ্যের বরাবরে সাজাতে হবে।

বেডের উপরের ১/৩ অংশে অপেক্ষাকৃত ছোট কচুরিপানা দিতে হবে। বেডের সাথে প্রাকৃতিক স্তর হিসেবে পানিতে লেগে থাকা কচুরিপানার বাড়তি অংশ ধারালো দা/ হালুয়া দিয়ে কেটে দিতে হবে।

প্রস্তুতকৃত বেডের উপরিভাগ হাত বা কাঠি দিয়ে সমতল করতে হয়। প্রাথমিকভাবে ভাসমান বেড তৈরির পর ১০-১৫ দিন ফেলে রাখা হয় যাতে কচুরিপানাগুলো পচে ফসল বপন/রোপণের উপযোগী হয়। তবে সদ্য তৈরি বেডের উপর পচা কচুরিপানা (শুকানো) অথবা কম্পোস্ট দিয়ে ২-৩ ইঞ্চি পুরু স্তর তৈরি করে সরাসরি বীজ বপন করা যায় বা চারা রোপণ করা যায়।

(৮) চারা তৈরি বা বীজ বপন

সাধারণত বড় আকারের বীজ যেমন- লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শিম, বরবটির জন্য বলে চারা তৈরি করে রোপণ করতে হয়। পচা কচুরিপানা দিয়ে অথবা টোপাপানা, কচুরিপানার শিকড় দিয়ে বল তৈরি করে ভাসমান বেডে রোপণের জন্য চারা তৈরি করা হয়।

বলে বীজ স্থাপন করার আগে বীজগুলো ভিজিয়ে (বীজের আকার অনুযায়ী ০৫-২০ ঘণ্টা) নিতে হয়। এতে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হয়। ছোট আকারের বীজ হলে সরাসরি বেডে বপন করা যায়। রোপণের পূর্বে বীজ ডাবল একশন কমপ্যোনিযনও গ্রাম/কেজি বীজ ছত্রাকনাশক দিয়ে শোধন করে নেওয়া ভালো। এতে বীজবাহিত রোগের প্রকোপ কম হয়।

চিত্র- পচা কচুরিপানা দিয়ে বল তৈরি করা হচ্ছে
চিত্র- পচা কচুরিপানা দিয়ে বল তৈরি করা হচ্ছে

(৯) ভাসমান বেডে যেসব ফসল চাষ করা যায়

গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে ভাসমান বেডে কলমিশাক, লালশাক, ডাঁটা, ঢেঁড়শ, বরবটি, ঝিঙে, শসা, করলা, চিচিঙ্গা, বেগুন, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, স্কোয়াশ এবং পানিকচু চাষ করা যায়। শীত মৌসুমে পালংশাক, লালশাক, ধনেপাতা, ফুলকপি, ব্রোকলি, ওলকপি, মুলা, লাউ, শিম, মরিচ, লেটুস, পেঁয়াজ, রসুন চাষ করা যায়। ভাসমান বেডে সবজির চারাও উৎপাদন করা যায়।

চিত্র- ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা
চিত্র- ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা

(১০) ভাসমান বেডে ফসলের পরিচর্যা

উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পরিচর্যার দিকে বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। ফসলের পরিচর্যার কাজে ছোট নৌকা বা ভেলা ব্যবহার করতে হয়।

১। ভাসমান বেডে ইউরিয়া সার ব্যবহার করা যাবে না। ইউরিয়া ব্যবহার করলে বেড দ্রুত পচে যাবে। তবে কোনো কারণে গাছের বাড়-বাড়তি কম হলে চারা রোপণের বা বীজ বপনের ২০-৩০ দিন পর প্রতি লিটার পানির সাথে ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া পানিতে গুলে শুধুমাত্র পাতায় স্প্রে (ফলিয়ার) করা যেতে পারে। 

২। বেডের উপর হাঁস উঠে চারা ও ফসলের ক্ষতি করে। এজন্য বেডগুলো পাশাপাশি রেখে নেট বা জাল দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। অনেক সময় বেডগুলো পানির স্রোত বা বাতাসে ভেসে যেতে পারে। সেজন্য বাঁশ পুঁতে বেডগুলো নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। শিম, বরবটি ইত্যাদি লতানো গাছের জন্য মাচা বা বাউনি হিসেবে বেডের উপর ডাল বা কঞ্চি পুঁতে দিতে হবে। 

৩। ফসল পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে আইপিএম (IPM) কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমন- প্রথম দিকে যখন পোকার সংখ্যা কম থাকে তখন হাত দিয়ে বা হাত জাল দিয়ে পোকা ধরে মারতে হবে। পোকার আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে উপযুক্ত কীটনাশক সঠিক সময়ে স্প্রে করতে হবে। স্প্রে এমনভাবে করতে হবে যেন কীটনাশক মাছের কোনো ক্ষতি করতে না পারে।

চিত্র- ভাসমান বেডে সবজি
চিত্র- ভাসমান বেডে সবজি

জলাবদ্ধ এলাকার কচুরিপানা ব্যবহার করে সবজি ও মশলা উৎপাদন করলে পুষ্টি জোগানের পাশাপাশি পচা কচুরিপানা জমিতে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করলে জমির উর্বরা শক্তি বাড়বে। উপরন্ত মৌসুম শেষে পানির জ্বর নেমে যাওয়ায় বেড যখন মাটির উপরে বসে যায় তখন তা ভেঙে জমিতে বিছিয়ে কোনো প্রকার চাষ, মই, সার ছাড়াই সফলভাবে শীতকালীন সবজি ও মশলা উৎপাদন করা যায়। এছাড়া, মৌসুম শেষে পচা কচুরিপানা ফল গাছের গোড়ায় সার হিসেবে ব্যবহার করে ফলের উৎপাদন বাড়ানো যায়।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কোন মাসে কী সবজি লাগাতে হয়

কোন মাসে কী সবজি লাগাতে হয়?

আলোচ্য বিষয়: (১) সবজি কী? (২) কোন মাসে কী সবজি লাগাতে হয়? (৩) বেশি বেশি সবজি চাষের প্রয়োজনীয়তা কী?
মটরশুঁটি চাষের পদ্ধতি

মটরশুঁটি চাষ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) মটরশুঁটির জাত পরিচিতি (২) মটরশুঁটি চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত বর্ণনা (৩) মটরশুঁটির রোগ-বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (৪) মটরশুঁটির পোকান্ডমাকড় দমন ব্যবস্থাপনা
মরিচের জাত কি কি নাম পরিচিতি ও গাছের বৈশিষ্ট্য (বারোমাসী + শীতকালীন + উন্নতউচ্চ ফলনশীল জাত)

মরিচের জাত কি কি? মরিচের জাতের নাম পরিচিতি ও মরিচ গাছের বৈশিষ্ট্য (বারোমাসী + শীতকালীন + উন্নত/উচ্চ ফলনশীল জাত)

আলোচ্য বিষয়: (১) মরিচের জাত কি কি? (২) মরিচের জাতের নাম পরিচিতি ও উক্ত মরিচ গাছের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের ফসল মৌসুম কত প্রকার ও কি কি, খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি মৌসুম কি, কোনটি, রবিশস্য ও খরিপ

বাংলাদেশের ফসল মৌসুম কত প্রকার ও কি কি? খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি মৌসুম কি/কোনটি? রবিশস্য ও খরিপ শস্যের মধ্যে পার্থক্য

আলোচ্য বিষয়: (১) বাংলাদেশের ফসল মৌসুম কত প্রকার ও কি কি? (২) খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি মৌসুম কি/কোনটি? (৩) রবিশস্য ও খরিপ শস্যের মধ্যে পার্থক্য
আলুর বীজ উৎপাদন পদ্ধতি ও আলুর বীজ শোধন পদ্ধতি

আলুর বীজ উৎপাদন পদ্ধতি ও আলুর বীজ শোধন পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে উন্নত মানের আলুর বীজ উৎপাদন পদ্ধতি ও আলুর বীজ শোধন পদ্ধতির বর্ণনা করা হলো-
৭ ধরণের শাকসবজি চাষ পদ্ধতি by খামারিয়ান

৭ ধরণের শাকসবজি চাষ পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) পালংশাক চাষ করার পদ্ধতি (২) পুঁইশাক চাষ করার পদ্ধতি (৩) বেগুন চাষ করার পদ্ধতি (৪) মিষ্টি কুমড়া চাষের পদ্ধতি (৫) চালকুমড়া চাষ করার পদ্ধতি (৬) লাউ চাষ করার পদ্ধতি (৭) শিম চাষ করার পদ্ধতি (৮) শাকসবজির গুরুত্ব
ভূমিক্ষয় কি বা ভূমিক্ষয় কাকে বলে, ভূমিক্ষয়ের কারণ গুলো কি কি, ভূমিক্ষয়ের প্রকারভেদ ও

ভূমিক্ষয় কি বা ভূমিক্ষয় কাকে বলে? ভূমিক্ষয়ের কারণ গুলো কি কি? ভূমিক্ষয়ের প্রকারভেদ ও ভূমি সংরক্ষণ

আলোচ্য বিষয়: (১) ভূমিক্ষয় কি বা ভূমিক্ষয় কাকে বলে? (২) ভূমিক্ষয়ের কারণ গুলো কি কি? (৩) ভূমিক্ষয়ের ফলাফল (৪) কার্যকারিতা অনুসারে ভূমিক্ষয়ের প্রকারভেদ (৫) কার্যশীল শক্তির প্রকার অনুযায়ী ভূমিক্ষয়ের প্রকারভেদ (৬) ভূমি সংরক্ষণ কি? (৭) ভূমি সংরক্ষণ কেন করা হয়? (৮) ভূমি সংরক্ষণের কার্যকরী উপায়
মাটি কাকে বলে, মাটি কি, মাটি বলতে কি বুঝায়, মাটির উপাদান কয়টি, মাটি কত প্রকার, মাটির বৈশিষ্ট্য

মাটি কাকে বলে? মাটি কি? মাটি বলতে কি বুঝায়? মাটির উপাদান কয়টি? মাটি কত প্রকার? মাটির বৈশিষ্ট্য

আলোচ্য বিষয়: (১) মাটি কাকে বলে? (২) মাটি কি? (৩) মাটি বলতে কি বুঝায়? (৪) মাটির উপাদান কয়টি ও কি কি? (৫) মাটি কত প্রকার ও কি কি? মাটির বৈশিষ্ট্য (৬) মাটির বুনট কি/কাকে বলে? বুনট অনুসারে মাটি কত প্রকার ও কি কি? (৭) কোন ফসল চাষের উপযোগী মাটি কোনটি? (৮) মাটি ভিত্তিক পরিবেশ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ফসল নির্বাচন
সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম)

সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম)

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে উদ্ভাবিত সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) প্রযুক্তিসমূহের উপর আলোকপাত করা হলো- (১) জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক পদ্ধতিতে সাউথ আমেরিকান টমেটো লিফ মাইনার পোকার দমন ব্যবস্থাপনা (২) পান ফসলের ক্ষতিকারক কালো ও সাদা মাছি পোকা দমনের জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক পদ্ধতি (৩) আন্তঃফসল এর মাধ্যমে মুগ ফসলের ফুলের থ্রিপস (Flower thrips) এবং ফল ছিদ্রকারী (Pod borer) পোকার দমন ব্যবস্থাপনা (৪) প্রধান সবজি ও মসলা ফসলে ডাইমেথইয়েট, কুইনালফস এবং ফেনিট্রোথিয়নের জন্য অপেক্ষমান (Pre Harvest Interval, PHI) সময় নির্ধারণ (৫) আকর্ষণ ও মেরে ফেলা পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন ফল যেমন আম, পেয়ারা, কমলা ও কুলের মাছি পোকা দমন (৬) আকর্ষণ ও মেরে ফেলা পদ্ধতির মাধ্যমে কুমড়া জাতীয় ফসলের মাছি পোকা দমন (৭) ফলজ ও বনজ বৃক্ষের জায়ান্ট মিলিবাগ দমন ব্যবস্থাপনা (৮) আমের ফুল ও ফল ঝরা রোধে টেকসই ব্যবস্থাপনা (৯) কচু ফসলের সাধারণ কাটুই পোকা (Spodoptera litura) এর সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (১০) মরিচের ফলছিদ্রকারী পোকা এর সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (১১) কপি জাতীয় ফসলের বিভিন্ন পাতা-খেকো পোকার সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (১২) সরিষা ফসলের সাধারণ কাটুই পোকা (প্রোডেনিয়া ক্যাটারপিলার) এর সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (১৩) সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিমের মাজরা পোকা দমন (১৪) উপকারী পোকা বা বন্ধু পোকার ব্যপকভিত্তিক উৎপাদন (১৫) কুলের ফল ছিদ্রকারী উইভিল পোকার সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (১৬) জৈব বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিমের প্রধান ক্ষতিকর পোকা (মাজরা ও জাব পোকা) দমন (১৭) বেগুনের বিভিন্ন ধরনের শোষক পোকার সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (১৮) বাঁধাকপি ও ফুলকপি ফসলের সাধারণ কাটুই পোকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা (১৯) কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা এর সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (২০) টমেটো ও বেগুনের ড্যাম্পিং অফ বা চারা গাছ ঢলে পড়া রোগ দমনে কৃষকদের করণীয় (২১) টমেটো ও বেগুনের ঢলে পড়া/ব্যাক্টেরিয়াল উইল্ট ও শিকড়ে গিঁট কৃমি/রুট নট নেমাটোড রোগ এবং তার সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (২৩) মসুর এর গোড়া পচা রোগ ও তার সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা কৃষকদের করণীয় (২৪) ছোলার গোড়া পচা বা কলার রট এবং ঢলে পড়া রোগ ও তার সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের করণীয় (২৫) শসার কিউকামবার মোজাইক ভাইরাস রোগের সমন্বিত দমন
বেবী কর্ণ চাষ পদ্ধতি

বেবী কর্ণ চাষ পদ্ধতি (ভুট্টার জাত বিশেষ)

আলোচ্য বিষয়: (১) বেবী কর্ণ এর জাত ও বৈশিষ্ট্য (২) বেবী কর্ণ চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা