রাশি কাকে বলে? স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশি কাকে বলে? উভয়ের মধ্য পার্থক্য সমূহ

আজ আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হহলো- রাশি কাকে বলে? স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশি কাকে বলে? এছাড়া ভেক্টরের লব্ধি, নাল ভেক্টর এবং একক ভেক্টর নিয়েও জানার চেষ্টা করব।
(১) রাশি কাকে বলে? বা রাশি কি?
সাধারণত পদার্থের যেসব ভৌত বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করা যায় তাই রাশি।
রাশি সাধারণত দুই প্রকার। যথা-
- স্কেলার বা অদিক রাশি
- ভেক্টর বা দিক রাশি
(২) স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশি কাকে বলে?

আমরা রাশির দুইটা প্রকার জানলাম। এখন সেগুলোর সংজ্ঞা শিখার চেষ্টা করব।
ক) স্কেলার রাশি
যে রাশি শুধু মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় তাকে স্কেলার রাশি বলা যায় হয় অর্থাৎ যে রাশির পরিমাপ করার জন্য বাজে রাশিতে প্রকাশ করার জন্য শুধুমাত্র মানি যথেষ্ট তাকে স্কেলার রাশি বলে।
যেমন- দূরত্ব, দ্রুতি বিভব স্কেলার ইত্যাদি।
খ) ভেক্টর রাশি
যে রাশিকে প্রকাশ করতে মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাকে ভেক্টর রাশি বলা হয় অর্থাৎ যে রাশিকে পরিমাপ করার জন্য বা যে রাশি কে ঠিক মত প্রকাশ করার জন্য মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাকে ভেক্টর রাশি বলে।
যেমন- ভরবেগ, বেগ, সরণ, বল, প্রাবল্য, ওজন, ত্বরণ, মন্দন, ভ্রামক, সান্দ্রতা, পৃষ্ঠটান, মহাকর্ষীয় বল ইত্যাদি সবই ভেক্টর রাশি।
(৩) স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশির মধ্যে পার্থক্য
স্কেলার রাশি | ভেক্টর রাশি | |
১। যে সকল রাশির মান আছে দিক নাই তাদেরকে স্কেলার রাশি বলে। | ১। যে সকল রাশির মান ও দিক উভয়ই আছে তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে। | |
২। উদাহরণ- দৈঘ্য, ভর, দ্রুতি, কাজ, শক্তি সময় ইত্যাদি স্কেলার রাশি। | ২। উদাহরন- সরণ ওজন বেগ ত্বরণ বল টর্ক ইত্যাদি। | |
৩। মান আছে কিন্তু দিক নাই। | ৩। মান ও দিক উভয়ই আছে। | |
৪। যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ স্বাভাবিক নিয়মে করা যায় | ৪। যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ স্বাভাবিক নিয়মে করা যায় না | |
৫। কমপক্ষে একটি রাশির মান শুন্য না হলে গুনফল শৃন্য হতে পারেনা। | ৫। কোন রাশির মান শৃন্য না হলেও গুনফল শৃন্য হতে পারে। | |
৬। দুটি স্কেলার রাশির গুনফল সর্বদা একটি স্কেলার রাশি হয় | ৬। দুটি ভেক্টর রাশির সুবিধাজনক গুনফল স্কেলার রাশি বা ভেক্টর রাশি হতে পারে। |
(৩) সম্পর্কিত আরও কিছু সংজ্ঞা
লব্ধি: দুই বা ততোধিক এক জাতীয় ভেক্টর যোগ করে একটি নতুন ভেক্টর পাওয়া যায়, একে লব্ধি বলে।
সর্বোচ্চ লব্ধি: দুটি ভেক্টর (ধরি,P এবং Q) যখন একই সরলরেখা বরাবর পরস্পর একই দিকে ক্রিয়া করে তখন তাদের লব্ধির (R) মান সর্বোচ্চ এবং এই মান ভেক্টর রাশি দুটির যোগফলের সমান অর্থাৎ (R = P + Q)।
সর্বনিম্ন লব্ধি: দুটি ভেক্টর (P এবং Q) বিপরীত দিকে ক্রিয়া করলে লব্ধির(R) মান সর্বনিম্ন হয় অর্থাৎ (R = P – Q)।
শূন্য বা নাল ভেক্টর: যে ভেক্টরের মান শূণ্য তাকে শূন্য (0) ভেক্টর বা নাল (Null) ভেক্টর বলে।
একক ভেক্টর: কোনো ভেক্টর কে ঐ ভেক্টরের মান দিয়ে ভাগ করলে যে ভেক্টর পাওয়া যায় তাকেই একক ভেক্টর বলে।
আজ এ পর্যন্তই। আর্টিকেলটিতে আরও কিছু যোগ করতে হলে কমেন্টে আমাদের জানান। আমরা দ্রুতই আর্টিকেলটি আপডেট করার চেষ্টা করব। আর আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।