গরুর খাদ্যঃ গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার? গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা

গরুর খাদ্যঃ গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার, গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা

(১) কেন গরুর খাদ্য তালিকার প্রতি যত্ন নিতে হবে?

কেন গবাদি পশুর খাদ্য তালিকার প্রতি যত্ন নিতে হবে

জীবন ধারনের জন্য খাদ্য অত্যাবশ্যক। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য যে সব দ্রব্য গ্রহনের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও শক্তি উৎপাদিত হয় তাকে খাদ্য বলে।

১. দেহের তাপ সংরক্ষণ, শক্তি উৎপাদন, ক্ষয়পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও সর্বোপরি জীবন ধারনের জন্য খাদ্য অপরিহার্য বাড়ন্ত অবস্থায় পশুর সুষ্ঠভাবে দৈহিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্য আবশ্যক।

২. পশুর সময়মত গরম হওয়া, গর্ভধারন, বাচ্চা প্রসব তথা পশুর উর্বরতা রক্ষার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়ােজন। এছাড়া গর্ভবতী পশুর গর্ভস্থ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

৩. পশুর দুধ উৎপাদনের পরিমানের উপর পশু খাদ্যের উৎপাদন ও পরিমান বৃদ্ধি আবশ্যক। অর্থাৎ গাভীকে খাদ্য সরবরাহের উপর তার দুধের পরিমান ও মান নির্ভর করে।

৪. পশুর কাজের ধরন ও পরিশ্রমের উপর পশু খাদ্য সরবরাহ প্রয়ােজন। অর্থাৎ পশু শক্তি ব্যবহারের প্রয়ােজন অনুযায়ী উপযুক্ত পরিমান খাদ্যের দরকার পড়ে।

৫. পশুর মাংস প্রােটিনযুক্ত। তাই উৎকৃষ্ট মানের মাংসের জন্য উপযুক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রয়ােজন। সুষম পশু খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্যের সকল উপাদান থাকে।

(২) গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার? গবাদি পশুর খাদ্য উপাদান

গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার, গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা, গরুর খাদ্য, গরু পালন

প্রধানত ৬ প্রকার খাদ্য উপাদান আছে যথা-

১. পানি

  • উৎস: স্বাভাবিক পানি।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ: দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিমাপক।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: হজমে ব্যাঘাত, দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দুধ উৎপাদত হ্রাস।

২. শর্করা

  • উৎস: চিনি, লালীগুড়, গম, চাল, ভুট্টা, ঘাস, খড়।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ:  দেহের তাপ ও শক্তির উৎস।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: পশুর ওজন হ্রাস, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়িা, গাভীর কিটোসিস রোগ।
See also  ভুট্টা সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি? সাইলেজ খাওয়ানোর নিয়ম? কেন ভুট্টা সাইলেজ খাওয়াবেন?

৩. আমিষ

  • উৎস: শুটকি মাছের গুড়া, খৈল, ডাল ইত্যাদি।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ: শরীরের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বজায় রাখে।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: বাড়ন ব্যাহত, দূর্বলতা, দৈহিক ওজন হ্রাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস।

৪. চর্বি

  • উৎস: উদ্ভিজ্জ তৈল।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাজ: দেহের তাপ ও শক্তি উৎপাদন।
  • অভাব জনিত উপসর্গ: পানি পান বৃদ্ধি ও দেহে পানি ধরা, দেহের ওজন হ্রাস ও বাড়ন ব্যাহত।

৫. খনিজ।

৬. ভিটামিন।

(৩) দুগ্ধবতী গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা

৫ কেজি দুধের জন্য-

১. কাঁচা (সবুজ) ঘাস ⇒ ১৪-১৫ কেজি।

২. দানাদার খাদ্য মিশ্রন ⇒ ৩ কেজি।

৩. আয়ােডিন লবন ⇒ ১০০ গ্রাম।

৪. পরিস্কার পানি ⇒ যথেষ্ট পরিমান।

৫. ইউরিয়া মিস্রিত ⇒ ০.৫ কেজি।

(৪) গবাদি পশুর দানাদার খাদ্য মিশ্রন তৈরি

উদাহরণস্বরূপ ৩ কেজি মিশ্রণের জন্য-

১. গমের ভুষি ⇒ ১ কেজি

. চালের কুঁড়া ⇒ ১ কেজি

৩. খেসারি ভাংগা ⇒ ৫০০ গ্রাম

৪. তিল/বাদামের খৈল ⇒ ৩০০ গ্রাম

৫. ভিটামিন প্রিমিক্স ⇒ ১০০ গ্রাম

৬. লবন ⇒ ১০০ গ্রাম

এভাবে মিশ্রিত খাদ্য প্রতিদিন ৩-৪ বারে খাওয়াতে হবে এবং পাশাপাশি ১৪-১৫ কেজি সবুজ কাঁচা ঘাস দিতে হবে। পরবর্তী অতিরিক্ত ৩ কেজি দুধের জন্য অতিরিক্ত আরও ১ কেজি দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।

(৫) ইউরিয়া এর মাধ্যমে খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ

ইউরিয়া এর মাধ্যমে খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ

এলাকায় পুষ্টিকর সবুজ গো খাদ্যের অভাব রয়েছে, ফলে গবাদি পশু হতে দুধ ও মাংসের উৎপাদন খুবই কম এবং প্রতিটি গাভীর গড় বাচ্চাদানের সংখ্যাও আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রচলিত প্রধান গো-খাদ্য খাদ্যমান বৃদ্ধি ও সহজ পাচ্য করার উদ্দেশ্যে সহজ খড় প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ানো দরকার।

পদ্ধতি:

⇒ মোট খড়ের ওজনের শতকরা ৫ ভাগ ইউরিয়া, খড়ের ওজনের সমপরিমাণ পানির সাথে ভালভাবে গুলানোর পর ইউরিয়া মিশ্রিত পানি কড়ের সাথে সমভাবে ছিটিয়ে মেশাতে হবে। (অর্থাৎ প্রতি ১০০ কেজি খড়ের ৫ কেজি ইউরিয়া সার ও ১০০লিটার পানি)।

See also  ফ্রিজ ছাড়া গরুর দুধ সংরক্ষণ পদ্ধতি বা ফ্রিজ ছাড়া দুধ সংরক্ষণের উপায়

⇒ ইউরিয়া পানি মিশ্রিত খড় সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় কোন পাত্রে অথবা মাটির গর্তে ৭-১০ দিন পলিথিন, চট, ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে চাপা দিয়ে রাখতে হয়। যাতে কোন ক্রমেই বাইরের বাতাস বা বৃষ্টির পানির সংস্পর্শে না আসে। ইউরিয়া খড়ের মিশ্রণ এভাবে ৭-১০দিন সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় রাখার পর গবাদি পশুকে খাওয়ানোর উপযোগী হয়।

⇒ পশু প্রাথমিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খড় খেতে সামান্য আপত্তি করতে পারে। কিন্তু ২-১ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ অভ্যস্ত হয়ে যায়।

⇒ ৭-১০ দিন সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় থাকলে খড় নরম ও সহজ পাচ্য এবং ইউরিয়া হতে এ্যামোনিয়া নির্গত হয়ে খড়ের সাথে মিশে যায়। এই এ্যামোনিয়া গবাদি পশুর পাকস্থরীতে বসবাসকারী কীট বা মাইক্রোফ্লোরা আমিষ জাতীয় খাদ্যে রূপান্তরিত করে পশুর আমিষ জাতীয় কাদ্য ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।

⇒ বন্যা মুক্ত স্থানে পাশাপাশি ২টি ১মিটার ব্যাস (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) ও ১ মিটার গভীর (সামান্য চালু রেখে) মাটিতে গর্ত করে নীচের দিকটা ভাল করে পিটিয়ে দরমুজ করে সমান করে নিয়ে ২ ইঞ্চি (বালি খােয়া ও সিমেন্টের মিশ্রণ দিয়ে) ঢালাই করে নিতে হবে এবং গর্তের পার্শ্বে ১ ইঞ্চি প্লাষ্টার ও উপরের অংশে ১ মিটার ব্যাসের রিং ফরমা বসিয়ে মাটির উপরে জেগে থাকা অংশ (৪ ইঞ্চি-৬ ইঞ্চি) সিমেন্ট,বালি ও খােয়র মিশ্রন দিয়ে নকশা অনুযায়ী ঢালাই করে শক্তিশালী করতে হবে যাতে কাজের সময় গর্তে ওঠানামা করাতে ভেঙ্গে না যায়।

ইউরিয়া খড় প্রক্রিয়াজাতকরণ গরুর খাদ্য তৈরি

⇒ পরিশেষে গর্তের ভিতরের অংশের দেওয়াল ও মেঝে প্রতিবারে আনুমানিক ৬০-৭০ কেজি খড় প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব, সাধারণত এরূপ ২টি গর্তের প্রয়ােজন হয়। বেশী সংখ্যক গবাদি পশু থাকলে প্রয়ােজন অনুসারে গর্তের আকার ও গভীরতা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত পরিমাণ খড় প্রক্রিয়াজাত করা যেতে পারে।

(৬) ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) প্রস্তুত ও গবাদি পশুকে খাওয়ানো

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) প্রস্তুত ও গবাদি পশুকে খাওয়ানো

আমিষের উৎস হিসেবে ইউরিয়া, শর্করা ও খনিজের উৎস হিসেবে মোলাসেসের (চিটা গুড়) জুরি মেলা ভার! 

See also  গাভী পালন পদ্ধতি

ইউরিয়া ও নালীগুড় মিশ্রিত প্রক্রিয়াজাত খড় কে ইউএমএস বলে। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র গরু সাধারণত আগ্রহের সাথে খেয়ে থাকে। এতে ওজন ও উৎপাদন উভয়ই বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি এটি একটি লাভজনক ও সহজ প্রযুক্তি।

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) তৈরির পদ্ধতি:

⇒ ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরীর জন্য শতকরা ৮২ভাগ খড়, ১৫ভাগ মোলাসেস (লালী/ঝােলাগুড়) এবং ৩ ভাগ ইউরিয়া সার প্রয়ােজন।

⇒ প্রথমে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ খড়, ঝােলাগুড় ও ইউরিয়া মেপে নিতে হবে।

⇒ উদাহরণঃ ১০কেজি ইউরিয়া মিশ্রিত খড় তৈরীর জন্য ২কেজি লালী,৩০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৬-৭ লিটার টিউবওয়েলের পানি প্রয়ােজন।

⇒ শুকনো খড়কে (১০কেজি) পলিথিন বিছানো বা পাকা মেঝেতে সমভাবে বিছিয়ে রাখতে হবে। এর পর নির্দিষ্ট পরিমাপের ইউরিয়া (৩০০গ্রাম) ও ঝােলা গুড় (২কেজি) নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে (৬লিটার) ভালভাবে মিশিয়ে আস্তে আস্তে ঝরনা বা হাত দিয়ে খড়ের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে।

⇒ ইউরিয়া মোলাসেস সলুশন ছিটানোর সাথে সাথে খড়কে উল্টিয়ে দিতে হবে যাতে খড় সলুশনের পানি সম্পূর্ণ চুষে নেয়। এভাবে স্তরে স্তরে খড় সাজাতে হবে ও ইউরিয়া মোলাসেসের সলুশন ছিটিয়ে সমভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

⇒ ওজন করা সম্পূর্ণ খড়ের সাথে সম্পূর্ণ ইউরিয়া মোলাসেস মিশ্রিত সলুশন নিলেই ইউরিয়া মোলাসেস প্রস্তুত করা সম্পন্ন হবে এবং গরুকে এই প্রক্রিয়াজাত খড় খাওয়ানোর উপযোগী হবে।

গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) খাওয়ানোর সুবিধাসমূহ:

⇒ এই পদ্ধতিতে ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খড়কে পলিথিন ব্যাগে ৭-১০দিন আবদ্ধ অবস্থায় রেখে রৌদ্রে শুকানো প্রয়ােজন হয়না।

⇒ এই পদ্ধতিতে ইউরিয়া পক্রিয়াজাত করার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের (বাড়ন্ত, দুগ্ধবর্তী, গর্ভবতী ইত্যাদি) গরুমহিষকে তাদের চাহিদামত খাওয়ানো যায়।

⇒ এই ইউরিয়া মিশ্রিত খড়ের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্য পশুকে খাওয়ানো যায়। যেমন- কাঁচাঘাস, ভুষি, খৈল ইত্যাদি৷ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এমন হাড্ডিসার গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র নিয়মিত খাওয়ালে গরু মোটাতাজা হয়।

See also  নেপিয়ার ঘাস চাষ পদ্ধতি

গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) খাওয়ানোর সাবধানতা:

⇒ একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গরুকে প্রত্যহ ৫০ গ্রামের অধিক ইউরিয়া মিশ্রিত খড় (১.৬৭ কেজি) খাওয়ানো উচিত নয়। *

⇒ ইউরিয়া,মোলাসেস, খড় ও পানি অনুপাত ঠিক রাখতে হবে। ইউরিয়ার মাত্রা কোন অবস্থাতেই বাড়ানো যাবে না। ইউরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করলে বিষক্রিয়ায় পশু মারা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

⇒ এই পদ্ধতিতে খড় বানিয়ে তিন দিনের বেশী রাখা বা খাওয়ানো যাবেনা। কারণ এসময়ের পর খড়ে ইউরিয়া ও লালি গুড়ের পরিমাণ কমে যায়।

⇒ ছয় মাসের কম বয়সী গরু-মহিষ এবং গর্ভাবস্থায় শেষ পর্যায়েইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানো যাবেনা।

ইউরিয়া বিষক্রিয়া:

⇒ সাধারণত খড়কে শতকরা ৪ ভাগ ইউরিয়া পক্রিয়াজাত করে রোমন্থক পশুকে মোটাতাজাকরণের জন্য খাওয়ানো হয়। তবে অনভ্যস্ত পশুর খাদ্যে হঠাৎ করে ইউরিয়া সংযোগ করলে বা খাদ্যে আকস্মিক অতিরিক্ত ইউরিয়া অথবা ত্রুটিপূর্ণভাবে ইউরিয়া মিশ্রিত হলে পশুর বিষক্রিয়া হয়।

গরুর ইউরিয়া বিষক্রিয়ার লক্ষণ:

⇒ গরুকে সাধারণত এইরূপ ইউরিয়া মিশ্রিত খড় খাওয়ানোর ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে উপসর্গ প্রকাশ পায়।

⇒ পেটে ব্যথা, ফেণাযুক্ত লালা ঝরা,মাংসপেশীর কম্পন, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, পেটফাঁপা ও হাটতে অসম্মতি উপসর্গ দেখা দেয়।

গরুর ইউরিয়া বিষক্রিয়া নির্ণয়:

⇒ ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাওয়ানোর ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপসর্গ দেখে ইউরিয়া বিষক্রিয়া নির্ণয় করা যায়।

⇒ ইউরিয়া বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত পশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে এ্যামোনিয়ার গন্ধ থাকবে।

গরুর ইউরিয়া বিষক্রিয়ার চিকিৎসা:

⇒ অ্যাসেটিক অ্যাসিড ৫% বা ভিনেগার ০.৫-১.০ লিটার মেষ ও ছাগল এবং ২-৪ লিটার গরু ও মহিষকে খাওয়াতে হবে।

⇒ চিকিৎসার পর পুনরায় উপসর্গ দেখা দিলে চিকিত্সার ২০ মিনিট পর পুনরায় এই ঔষধ খাওয়াতে হবে।

⇒ ডিহাইড্রেশনের জন্য ২-৪ লিটার ৫% ডেক্সট্রোজ-স্যালাইন শিরায় উনজেকশন দেয়া যায়।


প্রিয় খামারি বন্ধু, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা গরুর খাদ্য কি, গবাদি পশুর খাদ্য কত প্রকার ও একটি গবাদি পশুর খাদ্য তালিকা জানতে পারলাম। এছাড়াও “ইউরিয়া+খড়” এবং “ইউরিয়া+মোলাসেস+খড়” এই দুটি উপায়ে গরুর খাদ্য তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

See also  গরুর পেটের সমস্যাঃ গরুর পেট ফাঁপা, গরুর পেটে গ্যাস হলে করণীয়? গরুর পেট ফুলা, গরুর ডায়রিয়া ও ডায়রিয়ার প্রতিকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

informationbangla.com default featured image compressed

শিরোহি জাতের ছাগলের বৈশিষ্ট্যঃ শিরোহি জাতের ছাগল চেনার উপায়?

আলোচ্য বিষয়: ছাগল পালন পদ্ধতি, ছাগলের খামার, ছাগল পালন প্রশিক্ষণ, chagol palon training, chagoler khamar, chagol farm, sagol Khamar, শিরোহি জাতের ছাগলের বৈশিষ্ট্য? শিরোহি জাতের ছাগল চেনার উপায়? ছাগল পালন, শিরোহি ছাগল, বড় ছাগলের জাত, ভারতীয় ছাগলের জাত, শিরোহি ছাগল পালন, শিরোহি ছাগল চেনার উপায়, শিরোহি জাতের ছাগল, শিরোহি জাতের ছাগলের বৈশিষ্ট্য, শিরোহি জাতের ছাগল চেনার উপায়, শিরোহি জাতের ছাগল পালন, ছাগলের জাত পরিচিতি, ছাগলের জাত নির্বাচন, ছাগলের উন্নত জাত, ছাগলের উন্নত জাতের নাম। ... Read More
গরুর ছাগলের কৃমির ঔষধের নাম এবং গরুর ছাগলের কৃমি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

গরুর/ছাগলের কৃমির ঔষধের নাম এবং গরুর/ছাগলের কৃমি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

আলোচ্য বিষয়: (১) ‘গোলকৃমি’ দমনে গরুর/ছাগলের কৃমির ঔষধের নাম (২) ‘ফিতাকৃমি’ দমনে গরুর/ছাগলের কৃমির ঔষধের নাম (৩) ‘পাতাকৃমি’ দমনে গরুর/ছাগলের কৃমির ঔষধের নাম (৪) গরু-ছাগলের ‘ফ্যাসিওলিয়াসিস’ (Fascioliasis) কৃমি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা (৫) গরু-ছাগলের ‘হ্যাম্পসোর’ (Humpsore) কৃমি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা (৬) গরু-ছাগলের ‘মনিজিয়াসিস’ (Moniliasis) কৃমি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা (৭) গরু-ছাগলের ‘এন্টেরিক সিস্টোসোমিয়াসিস’ (Enteric schistosomiasis) কৃমি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা ... Read More
গরু ছাগলের খাদ্য, আঁশ জাতীয়, দানাজাতীয়, সাইলেজ ও হে তৈরির পদ্ধতি সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য

গরু-ছাগলের খাদ্য, আঁশ জাতীয়, দানাজাতীয়, সাইলেজ ও হে তৈরির পদ্ধতি, সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য

আলোচ্য বিষয়: (১) গরু-ছাগলের খাদ্যের প্রকার (২) আঁশ জাতীয় খাদ্য (৩) দানাজাতীয় খাদ্য (৪) সাইলেজ কী, এটি কী ধরণের খাদ্য? (৫) সাইলেজ ব্যবহারের সুবিধা (৬) সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি (৭) গরু-ছাগলের খাদ্য হে কী? (৮) গুণগত মানের হে-এর বৈশিষ্ট্য (৯) হে তৈরির পদ্ধতি ... Read More
informationbangla.com default featured image compressed

বাচ্চা প্রসব পরবর্তী গাভীর যত্ন ও পরিচর্যা

আলোচ্য বিষয়: বাচ্চা প্রসব পরবর্তী গাভীর যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয়, যেমন- ... Read More
সাইলেজ কি, সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি বা কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের পদ্ধতি

সাইলেজ কি? সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি বা কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: (১) সাইলেজ কি? কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের পদ্ধতি (২) সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি ... Read More
informationbangla.com default featured image compressed

গাভীর ওলানের ইডিমা রোগঃ লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

আলোচ্য বিষয়: (১) গাভীর ওলানের ইডিমা রোগ (Udder Edema) কী? (২) গাভীর ওলানের ইডিমার কারণ (৩) গাভীর ওলানের ইডিমার লক্ষণ (৪) গাভীর ওলানের ইডিমা চিকিৎসার পদ্ধতি (৫) গাভীর ওলানের ইডিমা প্রতিরোধের উপায় ... Read More
বর্ষায় ছাগলের যত্ন ও রোগমুক্ত রাখাতে ছাগলের পরিচর্যা পদ্ধতি

বর্ষায় ছাগলের যত্ন ও রোগমুক্ত রাখাতে ছাগলের পরিচর্যা পদ্ধতি

আলোচ্য বিষয়: বর্ষার শুরুতে আমরা আমাদের ফার্মে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি যা থেকে আপনার ছাগল কোন রকম মেডিসিন ছাড়াই ২৫% শতাংশ রোগমুক্ত থাকবে। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক সেই ব্যবস্থাপনাটি কি? ... Read More
গরু-ছাগলের গায়ে পোকা বা বহিঃপরজীবী জনিত রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ

গরু-ছাগলের গায়ে পোকা বা বহিঃপরজীবী জনিত রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ

আলোচ্য বিষয়: (১) গরু-ছাগলের গায়ে পোকা বা বহিঃপরজীবী দমনে চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ (২) গরু-ছাগলের গায়ে পোকা বা বহিঃপরজীবী জনিত রোগ ‘মেন্জ’ (Mange) এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ (৩) গরু-ছাগলের গায়ে পোকা বা বহিঃপরজীবী জনিত রোগ ‘মায়াসিস’ (Myiasis) এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ ... Read More
ছাগল পালনে লাভ লস যে ৩টি কারণে, নতুন খামারিদের জন্য জরুরি পরামর্শ

ছাগল পালনে লাভ লস যে ৩টি কারণে, নতুন খামারিদের জন্য জরুরি পরামর্শ

আলোচ্য বিষয়: আজকের এই আলোচনাটির মাধ্যমে আপনাদেরকে বোঝার চেষ্টা করব নতুন একজন ফার্মার যদি ছাগল খামার শুরু করতে যায় তাহলে কি কি পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করা উচিত? ... Read More
ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা, গরুকে খাবার দেওয়ার নিয়ম ও ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা

ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা, গরুকে খাবার দেওয়ার নিয়ম ও ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা

আলোচ্য বিষয়: (১) গরুকে খাবার দেওয়ার নিয়ম বা গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম (২) গরু ছাগল বা গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা (৩) ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা (৪) ১৫০ কেজি ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা (৫) ১৫০-২০০ কেজি ওজনের গরুর খাদ্য তালিকা (৬) গরুর দানাদার খাদ্য তৈরির তালিকা (৭) ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্যের পরিমাণ (৮) গরু মোটাতাজাকরণ খাদ্য সরবরাহ পদ্ধতি (৯) গরুকে পানি ও খাদ্য খাওয়ানোর পদ্ধতি ... Read More