সুশাসন কাকে বলে? সুশাসনের প্রকৃতি ও ধরণ, উপাদান বা ভিত্তি কি?

সুশাসন কাকে বলে, সুশাসনের প্রকৃতি ও ধরণ, উপাদান বা ভিত্তি কি

বর্তমান রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার একটি মার্জিত, কাঙ্ক্ষিত ও সুসংগঠিত রূপ হলো সুশাসন। সুশাসন ধারণাটি মূলত শাসন এর সাথে সু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গড়ে উঠেছে।সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো- Good Governance। ইংরেজি এই- Governance শব্দটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ- Kubernaein থেকে উৎপত্তি হয়েছে। যার অর্থ হলো- To steer। সুতরাং সুশাসনের অর্থ হলো- নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। চলুন এবার তাহলে সুশাসন কাকে বলে? সুশাসনের প্রকৃতি ও ধরণ, উপাদান বা ভিত্তি কি? এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

(১) সুশাসন কাকে বলে? সুশাসন কি?

সুশাসন কাকে বলে, সুশাসন কি

যে শাসন ব্যবস্থায় সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, তাকেই সুশাসন বলা হয়।

ম্যাককরনী (MacCorney)-এর মতে, “সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগনের, শাসকের সাথে সাশিতের সম্পর্ক।”

বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের সংজ্ঞা হলো, “Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.” অর্থাৎ, “সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সমাজিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়।”

পিয়েরে ল্যান্ডেল মিলস ও ইসমাইল সেরাজিল ডিন এর মতে, “জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং ন্যায্য অধিকার উপভোগের নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা চর্চার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়া হলো সুশাসন।”

UNDP এর মতে, “একটি দেশের সার্বিক স্তরের কার্যাবলি পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্তৃত্বের বিধিবদ্ধ চর্চার বা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো সুশাসন।”

মারটিন মিনোগের মতে, “বৃহৎ অর্থে সুশাসন হচ্ছে কতিপয় উদ্যােগের সমাহার ও একটি সংস্কার কৌশল যা সরকারকে আরও বেশি গণতান্ত্রিক মুক্তমনা, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার জন্য সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় করে তোলে।”

Harris এর মতে, “সুশাসন এমন এক সার্বজনীন ভূমিকা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ধারা যা আপনা থেকেই নিয়ম-কানুন ও সেসবের কার্যকারিতার সংঘাতকে নিয়ন্ত্রণ করে।”

এক কথায় বলা যায়, যে শাসন ব্যবস্থায় আইনের শাসন, দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনগণে অংশগ্রহণ গনতান্ত্রিক উপায়ে সুনিশ্চিত হয় তাকেই সুশাসন বলে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কর্তৃক সুশাসনের সঙ্গা প্রদানের সময় কালঃ

সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানসাল
বিশ্বব্যাংক (WB)১৯৯২
এডিবি (ADB)
আইএমএফ (IMF)
আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (AFDB)
জাতিসংঘ (UN)
ইউএনডিপি (UNDP)
আইডিএ (IDA)

প্রতিষ্ঠানবাদীদের মতে, “অর্থনৈতিক প্রণোদনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশ ও সম্প্রসারণ ঘটাতে সক্ষম নয় সে রাষ্ট্রের পক্ষে ক্রমাগত ত টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া লালন করাও সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশ ও সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো সুশাসন।”

(২) সুশাসনের প্রকৃতি ও ধরণ

শাসনব্যবস্থার একটি ইতিবাচক দিক হলো সুশাসন, যা জনকল্যাণ নিশ্চিত করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এর প্রকৃতি হলো দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিত করা ও মানবাধিকার সংরক্ষণ করা। সুশাসনের দুটি ধারা লক্ষ্য করা যায়। এগুলো হলো-

  • বিশ্বব্যাংক এবং
  • পশ্চিমা বিশ্বের পন্ডিত ও তাত্ত্বিকদের মতবাদ

বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রদানের সময় সেসব দেশকেই অগ্রাধিকার দিবে যেসব দেশে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকবে। বিশ্বব্যাংক মনে করে জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

পশ্চিমা বিশ্বের পন্ডিত ও তাত্ত্বিকগণের মতে, “সুশাসন হলো গণতান্ত্রিক শাসন এবং গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা তারা সুশাসনের ৪টি দিকের কথা বলে। এগুলো হলো-

  1. সুশাসন হলো অধিকতর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থা।
  2. সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইনের উপর রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত।
  3. রাজনৈতিক প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ। জনগণের কাছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ জবাবদিহিতা করতে হবে।
  4. শাসন কাঠামোর অন্যতম দিক হবে প্রশাসনিক দক্ষতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

(৩) সুশাসনের ভিত্তি বা উপাদানসমূহ

বিশ্বব্যাংক প্রবর্তিত সুশাসনের ধারণাটি মূলত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রযুক্ত কতগুলো শর্ত বা বিষয়ের সমন্বিত রূপ। এসব শর্ত বা বিষয়গুলোকেই সুশাসনের উপাদান বলা হয়। এর উপাদানগুলো হলো-

  • মূল্যবোধ
  • ঔচিত্যবোধ
  • স্বচ্ছতা
  • ন্যায়বিচার
  • দায়বদ্ধতা
  • অংশগ্রহণ
  • দায়িত্বশীলতা
  • সমতা
  • দক্ষ প্রশাসন ইত্যাদি।

তবে সুশাসনের উপাদানসমূহ সংস্থা ও রাষ্ট্রভেদে ভিন্নরূপ হয়ে থাকে।

সুশাসনের উপাদানকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  1. প্রাতিষ্ঠানিক উপাদান
  2. অপ্রাতিষ্ঠানিক উপাদান

প্রাতিষ্ঠানিক উপাদানসমূহ হলোঃ

  • স্বাধীন নির্বাচন কমিশন
  • কার্যকর সংসদ
  • সুদক্ষ আমলাতন্ত্র
  • স্বাধীন বিচার বিভাগ
  • শক্তিশালী স্থানীয় সরকার
  • স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন

অপ্রাতিষ্ঠানিক উপাদানসমূহ হলোঃ

  • বৈধ রাজনৈতিক ব্যবস্থা
  • সফল ও কার্যকর নেতৃত্ব
  • সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
  • রাজনৈতিক অংশগ্রহণ
  • সরকারের দায়িত্বশীলতা
  • কার্যকর শাসন
  • আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা
  • বিকেন্দ্রীকরণ
  • সম্পদের সুষম বন্টন
  • মানবাধিকারের অংশগ্রহণ
  • নারীর ক্ষমতায়ন
  • সুস্থ শিক্ষাব্যবস্থা
  • দুর্নীতির মূলোৎপাটন ইত্যাদি।

ক) বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের উপাদান

১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক এক রিপোর্টে সুশাসনের ৪টি উপাদানের কথা বলেছে। এগুলো হলো-

  1. সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থা
  2. যথাযথ বা বৈধ উন্নয়ন কাঠামো
  3. দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা
  4. স্বচ্ছতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহ

তবে বিশ্বব্যাংকের অভিমত অনুসারে সুশাসনের ৬টি উপাদান থাকা উচিত। এগুলো হলো-

  1. বাকস্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা
  2. আইনের শাসন
  3. নিয়ন্ত্রণ গুণ
  4. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অহিংসতার অনুপস্থিতি
  5. সরকারের কার্যকারিতা
  6. দুর্নীতি দমন

খ) জাতিসংঘের মতে সুশাসনের উপাদান

জাতিসংঘ সুশাসনের ৮টি উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করেছে। এগুলো হলো-

  1. মতামতের উপর নির্ভরশীল
  2. দায়বদ্ধতা
  3. অংশগ্রহণ
  4. কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন
  5. আইনের শাসনের অনুসারী
  6. স্বচ্ছতা
  7. জবাবদিহিতা
  8. ন্যায়বিচারপ্রবণ

গ) UNDP-এর মতে সুশাসনের উপাদান

UNDP এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Development Program। ১৯৯৭ সালে UNDP সুশাসনের ৯টি উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো-

  1. অংশীদারত্ব (Perticipation)
  2. আইনের শাসন (Rule of Law)
  3. স্বচ্ছতা (Transparency)
  4. সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
  5. জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা (Consensus orientation)
  6. সাম্য (Equity)
  7. কার্যকরীতা ও দক্ষতা (Effectiveness and Efficiency)
  8. দায়বদ্ধতা (Accountability )
  9. কৌশলগত লক্ষ্য (Strategic Vision)

ঘ) IDA-এর মতে সুশাসনের উপাদান

IDA এর পূর্ণরূপ হলো The International Development Association. এটি ১৯৯৮ সালে সুশাসনের ৪টি উপাদানের উপর গুরুত্বারোপ করেছে। এগুলো হলো-

  1. জবাবদিহিতা (Accountability)
  2. অংশগ্রহণ (Participation)
  3. ভবিষ্যদ্বাণী (Predictabiliy)
  4. স্বচ্ছতা (Transparency)

ঙ) UNHRC এর মতে সুশাসনের উপাদান

UNHRC সুশাসনের উপাদান ৫টি উপাদানের কথা বলেছেন। এগুলো হলো-

  1. Transparency
  2. Responsibility
  3. Accountability
  4. Participation
  5. Responsiveness

চ) ESCAP এর মতে সুশাসনের উপাদান

ESCAP সুশাসনের ৯ টি উপাদানের কথা বলেছে। এগুলো হলো –

  • মৌলিক অধিকার
  • নাগরিক অংশগ্রহণ
  • আইনের শাসন
  • দায়িত্বশীলতা
  • স্বচ্ছতা
  • সকলের মতের ঐক্য
  • জবাবদিহিতা
  • সাম্যও সর্বভুক্তিকরণ
  • কার্যকারিতা ও দক্ষতা

ছ) কৌটিল্যের মতে সুশাসনের উপাদান

কৌটিল্যের মতে সুশাসনের ৪টি উপাদান রয়েছে। এগুলো হলো-

  1. আইনের শাসন
  2. প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা
  3. ন্যায়বিচার ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
  4. দুর্নীতিমুক্ত শাসন

কোন সংস্থার মতে সুশাসনের উপাদান কয়টি?

সংস্থার নামউপাদানগৃহীত সাল
বিশ্বব্যাংক১৯৯৪
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক১৯৯৫
জাতিসংঘ
UNDP১৯৯৭
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতি (IDA)১৯৯৮
আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক (AfDB)১৯৯৯
কৌটিল্যের মতে৪ টি

(৪) সুশাসনের প্রতিবন্ধকতা

সুশাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিম্নের প্রতিবন্ধকতাসমূহ পরিলক্ষিত হয়। যেমন-

  • অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের অভাব
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা
  • সামাজিক অসাম্য
  • বাক স্বাধীনতার উপর সরকারের হস্তক্ষেপ
  • ক্ষমতার ভারসাম্যের অভাব
  • দলীয়করণ
  • বিজ্ঞ নেতার অভাব
  • জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব
  • অপরাজনীতি
  • বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব
  • আইনের শাসনের অনুপস্থিতি
  • নাজুক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ইত্যাদি।

(৫) সুশাসন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

১। সুশাসনের মূল ভিত্তি কি?

  • মূল্যবোধ
  • আইনের শাসন
  • গণতন্ত্র
  • আমলাতন্ত্র

উত্তরঃ আইনের শাসন

২। সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে –

  • মত প্রকাশের স্বাধীনতা
  • নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা
  • নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
  • প্রশাসনের নিরপেক্ষতা

উত্তরঃ মত প্রকাশের স্বাধীনতা

৩। উৎপত্তিগত অর্থে Governance শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?

  • ল্যাটিন
  • গ্রিক
  • হিব্রু
  • ফারসি

উত্তরঃ গ্রিক

৪। UNDP সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কয়টি উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন?

  • ৬টি
  • ৭টি
  • ৮টি
  • ৯টি

উত্তরঃ ৯টি

৫। বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের উপাদান কয়টি?

  • ৩টি
  • ৪টি
  • ৫টি
  • ৬টি

উত্তরঃ ৬টি

৬। সুশাসন শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে?

  • জাতিসংঘ
  • বিশ্বব্যাংক
  • UNDP
  • IMF

উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক

৭। সুশাসনের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা কোনটি?

  • দারিদ্র্য
  • অর্থনীতি
  • দুর্নীতি
  • রাজনীতি

উত্তরঃ দুর্নীতি

৮। কোন বছর UNDP সুশাসনের সংঙ্গা প্রবর্তন করেন?

  • ১৯৫
  • ১৯৯৭
  • ১৯৯৮
  • ১৯৯৯

উত্তরঃ ১৯৯৭

৯। সুশাসনের পথে অন্তরায়-

  • আইনের শাসন
  • জবাবদিহিতা
  • স্বজনপ্রীতি
  • ন্যায়পরায়ণতা

উত্তরঃ স্বজনপ্রীতি

১০। আধুনিক রাষ্ট্রসমূহ কোনধরণের?

  • ঊর্ধ্বমুখী
  • নিম্নমুখী
  • কল্যাণমুখী
  • পশ্চাৎমুখী

উত্তরঃ কল্যাণমুখী

১১। জাতিসংঘ সুশাসনের কয়টি উপাদানের কথা উল্লেখ করেছে?

  • ৫টি
  • ৬টি
  • ৭টি
  • ৮টি

উত্তরঃ ৮টি

১২। “সর্বোৎকৃষ্ট কল্যাণ সাধন রাষ্ট্রের লক্ষ্য” উক্তিটি কার?

  • থেলিস
  • প্লেটো
  • অ্যারিস্টটল
  • রুশো

উত্তরঃ অ্যারিস্টটল

১৩। “ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য” উক্তিটি কার?

  • লর্ড ব্রাইস
  • বিচারপতি হিউজেস
  • অধ্যাপক লাস্কি
  • আব্রাহাম লিংকন

উত্তরঃ অধ্যাপক লাস্কি

১৪। সমাজে একতা প্রতিষ্ঠা করে কোনটি?

  • নৈতিকতা
  • আইন
  • শৃঙ্খলাবোধ
  • সহনশীলতা

উত্তরঃ শৃঙ্খলাবোধ

১৫। “জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব” অভিমতটি কার?

  • বিশ্বব্যাংক
  • ইইউ’র
  • আইডিবি’র
  • আইএমএফ’র

উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক

তো আজ এপর্যন্তই থাকলো। আশা করি সুশাসন কাকে বলে? সুশাসনের প্রকৃতি ও ধরণ, উপাদান বা ভিত্তি কি? সম্পর্কে কিছুটা হলেও দিতে পেরেছি। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এসিড কাকে বলে, এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও চেনার উপায় কি

এসিড কাকে বলে? এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও চেনার উপায় কি?

আলোচ্য বিষয়: (১) অম্ল বা এসিড কাকে বলে? (২) সবল বা শক্তিশালী এসিড কাকে বলে? (৩) দুর্বল অ্যাসিড কাকে বলে? (৪) এসিডের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও চেনার উপায় কি? (৫) সংকেতসহ কয়েকটি এসিডের উদাহরণ Read
স্বাভাবিক সংখ্যা কাকে বলে, স্বাভাবিক সংখ্যার উৎপত্তি

স্বাভাবিক সংখ্যা কাকে বলে? স্বাভাবিক সংখ্যার উৎপত্তি

আজ আমরা স্বাভাবিক সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করব। স্বাভাবিক সংখ্যা কাকে বলে এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। (১) স্বাভাবিক সংখ্যা কাকে বলে? শূন্য থেকে বড় সকল  পূর্ণ সংখ্যাকে স্বাভাবিক সংখ্যা বা ধনাত্মক অখণ্ড সংখ্যা বলে। অন্যভাবে বলতে গেলে সকল গণনার যোগ্য সংখ্যা কে স্বাভাবিক সংখ্যা বলে। যেমনঃ 1,2,3,4…N স্বাভাবিক সংখ্যার ক্ষুদ্রতম মান 1 এবং এর সেট কে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। (২) স্বাভাবিক সংখ্যার উৎপত্তি প্রাচীনকালে গণনা কার্য এবং হিসাব নিকাশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্বাভাবিক সংখ্যার উৎপত্তি হয়। যেমনঃ ৫টি কমলা কোন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় স্থান এরকম হিসাব নিকাশের জন্য স্বাভাবিক সংখ্যার উৎপত্তি হয়। অর্থ্যাৎ, মানুষ যখন প্রথমবারের মতো গণনা শুরু করেছিল— একটা, দুইটা, তিনটা… সেখান থেকেই স্বাভাবিক সংখ্যার উৎপত্তি। প্রাচীনকালে মানুষ শিকার, গৃহপালিত পশু, ফসল বা জিনিসপত্রের সংখ্যা গণনার প্রয়োজনীয়তা Read
informationbangla.com default featured image compressed

সর্বনাম পদ কাকে বলে? সর্বনাম পদ কত প্রকার ও কি কি?

আলোচ্য বিষয়: (১) সর্বনাম পদ কাকে বলে? (২) সর্বনাম পদের প্রকারভেদ/শ্রেণীবিভাগ Read
হুন্ডের নীতি কি, হুন্ডের নীতির ব্যাখ্যা

হুন্ডের নীতি কি? হুন্ডের নীতির ব্যাখ্যা

হুন্ডের নিয়মঃ সম শক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করবে যেন তারা সর্বাধিক অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে। এই সব অযুগ্ম ইলেকট্রনের স্পিন একমুখী হবে।”- হুন্ডের নীতির ব্যাখ্যাঃ হুন্ডের নিয়মটি N(7) পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে দেখানো হল৷ নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস-N (7) = 1s² 2s² 2p³ আবার 2p অরবিটালে সমশক্তিসম্পন্ন তিনটি অরবিটাল আছে, যেটি কোয়ান্টাম উপশক্তিস্তর আকার আকৃতি থেকে জানা যায় যে p অরবিটালের আকৃতি আসলে ত্রিমাত্রিক ডাম্বেল আকৃতির, 2p অরবিটালের তিনটি অরবিটাল আছে; এদেরকে px, py, pz অরবিটাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ সুতরাং নাইট্রোজেনের বেলায় 2p³ এর তিনটি ইলেকট্রন তিনটি সমশক্তির অরবিটালে আলাদা আলাদাভাবে থাকবে এবং এদের স্পিনসমূহের দিক একইমুখী হবে। যেমন-N (7) = 1s² 2s² 2px1 2py1 2pz1অথবা, ইলেকট্রন বক্স দিয়ে করলে-1s …. 2s …. 2p↓↑ …..↓↑ …..↑↑↑যেখানে, m = +1, Read
informationbangla.com default featured image compressed

সমবাহু ত্রিভুজ ও সমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল এবং পরিসীমার সূত্র

আলোচ্য বিষয়: (১) সমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে? (২) সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমার সূত্র (৩) সমবাহু ত্রিভুজের উদাহরণ (৪) সমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল (৫) সমবাহু ত্রিভুজের বৈশিষ্ট্য Read
বৃত্ত কাকে বলে, একটি বৃত্তের কয়টি অংশ থাকে ও কি কি

বৃত্ত কাকে বলে? একটি বৃত্তের কয়টি অংশ থাকে ও কি কি?

আলোচ্য বিষয়: (১) বৃত্ত কাকে বলে? (২) বৃত্তের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? (৩) একটি বৃত্তের কয়টি অংশ থাকে ও কি কি? (৪) বৃত্তের কেন্দ্র কাকে বলে? (৫) বৃত্তের পরিধি কাকে বলে? বৃত্তের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যকে কি বলে? (৬) জ্যা কাকে বলে? বৃত্তের বৃহত্তম জ্যা কে কি বলা হয়? (৭) ব্যাস কাকে বলে? (৮) ব্যাসার্ধ কাকে বলে? (৯) বৃত্তের ক্ষেত্রফল বলতে কি বুঝ? (১০) স্পর্শক কাকে বলে? Read
সংখ্যা পদ্ধতি কি, সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা বেজ ও প্রকারভেদ

সংখ্যা পদ্ধতি কি? সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি/বেজ ও প্রকারভেদ

আলোচ্য বিষয়: (১) সংখ্যা পদ্ধতি কি? (২) সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি/বেজ (৩) সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ Read
সমাজ কাকে বলে

সমাজ কাকে বলে?

আলোচ্য বিষয়: নিম্নে সমাজ কাকে বলে সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষীগণের উক্তি ও সংঙ্গাসমূহ তুলে ধরা হলো- Read
informationbangla.com default featured image compressed

অনলাইনে জিআরই (GRE) প্রিপারেশনের জন্য সেরা ১০টি ওয়েবসাইট

কারো জীবনে সবচেয়ে কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হল শিক্ষা। প্রয়োজনের সময়, এটি আপনাকে কেবলমাত্র বৌদ্ধিকভাবেই নয়, আর্থিকভাবেও আপনাকে সাহায্য করে।আপনি যখন ইনঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, আইন বা অন্য কোনও গ্রেড স্কুলের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন তখন জিআরই পরীক্ষা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আপনি কোন স্কুলে ভর্তি হতে চান, তার জন্য কেমন স্কোর প্রয়োজন এগুলো দেখে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যেহেতু আপনি আপনার পছন্দের স্কুলের জন্য কোন সেকশনে কেমন স্কোর দরকার তা দেখে আবেদন করতে পারবেন, সেহেতু আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া অনেকাংশেই আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। বর্তমানে জিআরই পরীক্ষার আগ্রহীদের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং কোর্স চালু রয়েছে, যেগুলো আপনাকে জিআরই পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতি জন্য সার্বিকভাবে সাহায্য করবে। তবে অধিক ওয়েবসাইটের জন্য কোন ওয়েবসাইটটি একজন নতুন আগ্রহীর জন্য ভাল, তা নির্বাচন করতে Read
তরঙ্গ কাকে বলে, তরঙ্গ কত প্রকার ও কি কি, তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য

তরঙ্গ কাকে বলে? তরঙ্গ কত প্রকার ও কি কি? তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য

আলোচ্য বিষয়: (১) তরঙ্গ কাকে বলে? তরঙ্গ কি? (২) তরঙ্গ কত প্রকার ও কী কী? (৩) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ ও অনুপ্রস্থ তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য কি কি? (৪) তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য কি কি? (৫) তরঙ্গ মাধ্যম (৬) তরঙ্গ সৃষ্টির কারণ (৭) তরঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর ক) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে? খ) পানির ঢেউ অনুপ্রস্থ তরঙ্গ কেন? গ) তরঙ্গ বেগ কাকে বলে? ঘ) তরঙ্গের দশা কাকে বলে? ঙ) তরঙ্গমুখ কাকে বলে? চ) স্থির তরঙ্গ কাকে বলে? ছ) যান্ত্রিক তরঙ্গ কাকে বলে? জ) তাপ তরঙ্গ কি? ঝ) তরঙ্গের দ্রুতি কাকে বলে? ঞ) লম্বিক তরঙ্গ কাকে বলে? ট) তরঙ্গস্থিত কোনো বিন্দুর দশা বলতে কি বুঝায়? ঠ) কোন তরঙ্গের কম্পাঙ্ক 1000Hz বলতে কি বুঝায়? Read