মসজিদে প্রবেশের দোয়া ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া

মসজিদে প্রবেশের দোয়া ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহ।

আজকের এই আর্কিলটিকে আমাদের তুলে ধরব- মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া; মসজিদে যাওয়ার সুন্নাত ও আদব সমূহ; মসজিদে প্রবেশের সুন্নাত ও আদব সমূহ; মসজিদের ভিতরের সুন্নাত ও আদব সমূহ; মসজিদ থেকে বের হওয়ার সুন্নাত ও আদব সমূহ; মসজিদ থেকে বের হওয়ার সুন্নাত ও আদব সমূহ; প্রভৃতি বিষয় অত্যন্ত ধারাবাহিক ও বিস্তারিতভাবে।

আশা করি এখান থেকে মসজিদে প্রবেশের দোয়া ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়াসহ মসজিদ সংশ্লিষ্ট যত আদব-কায়দা সুন্নত আমল রয়েছে তার সবগুলো জানতে পারবেন।

চলুন শুরু থেকে শুরু করি-

(১) মসজিদে যাওয়ার সুন্নাত ও আদব সমূহ

🔹 ১. শরীর পবিত্র করে নিবে।

🔹 ২. কাপড় পবিত্র করে নিবে।

🔹৩. ঘর থেকে উযূ করে মসজিদে যাবে। মসজিদে যেয়ে উযূ করার চেয়ে ঘর থেকে উযূ করে যাওয়া উত্তম।

🔹 ৪. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বিসমিল্লাহ ও বের হওয়ার দোয়া পড়বে-

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পড়ার দোয়াঃ

আরবি:

بِسْمِ اللهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ

উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ, ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

বাংলা অর্থ:
আল্লাহর নামে বের হলাম। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও ক্ষমতা নেই।

তথ্য:
এই দোয়াটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এটি পড়লে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা পাঠান, তারা বলেনঃ “তোমার হিদায়াত দেওয়া হয়েছে, তোমার যথেষ্ট হয়েছে, তোমাকে রক্ষা করা হয়েছে।” (তিরমিজি)

🔹 ৫. ধীরস্থির ভাবে চলবে।

🔹 ৬. গাম্ভীর্যের সাথে চলবে।

🔹 ৭. চলার পথে হাসি-তামাশা, ক্রীড়া-কৌতুক ও অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকবে।

🔹 ৮. চলতে চলতে এই দোয়া পড়েব-

চলতে চলতে বা বিশেষভাবে মসজিদে যাওয়ার সময় পড়ার দোয়াঃ

আরবি:

اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفِي لِسَانِي نُورًا، وَاجْعَلْ فِي سَمْعِي نُورًا، وَاجْعَلْ فِي بَصَرِي نُورًا، وَاجْعَلْ مِنْ خَلْفِي نُورًا، وَمِنْ أَمَامِي نُورًا، وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِي نُورًا، وَمِنْ تَحْتِي نُورًا، اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُورًا

উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মাজ‘আল ফি ক্বালবি নূরান, ওয়া ফি লিসানি নূরান, ওয়াজ‘আল ফি সামি’ নূরান, ওয়াজ‘আল ফি বাসারি নূরান, ওয়াজ‘আল মিন খালফি নূরান, ওয়ামিন আমামি নূরান, ওয়াজ‘আল মিন ফাওকি নূরান, ওয়ামিন তাহতি নূরান, আল্লাহুম্মা আ‘ত্বিনী নূরান।

বাংলা অর্থ:
হে আল্লাহ! তুমি দান কর আমার অন্তরে নূর, আমার জিহ্বায় নূর, আমার শ্রবণে নূর, আমার দৃষ্টিতে নূর। তুমি দান কর আমার পেছনে নূর, সামনে নূর, উপরে নূর, নিচে নূর। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নূর দান করো।

উৎস:
এই দোয়াটি সহীহ মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে এসেছে। বিশেষ করে, এটি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সেই দোয়াগুলোর একটি যা তিনি রাতের ইবাদতের সময় অথবা মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় পড়তেন।

তথ্য:
এই দোয়াটি শুধু চলতে চলতে নয়, আল্লাহর নিকট আলো ও হেদায়াত প্রার্থনার জন্য প্রতিদিনই পড়া যেতে পারে।

🔹 ৯. প্রত্যেকটা কদমে কদমে ছওয়াব হবে-এই বিশ্বাস ও আশা মনে বদ্ধমূল রেখে পথ চলবে।

🔹 ১০. পথ চলার অন্যান্য আমল পালন করবে।

(২) মসজিদে প্রবেশের সুন্নাত ও আদব সমূহ

🔹 ১. নত চোখে, ভীত মনে মসজিদে প্রবেশ করবে।

🔹 ২. মসজিদে প্রবেশের পূর্বে জুতা খুলে নিবে। জুতা ভিতরে নিতে হলোে ঝেড়ে পরিষ্কার পূর্বক নিবে।

🔹 ৩. প্রথমে বাম পায়ের জুতা তারপর ডান পায়ের জুতা খুলবে।

🔹 ৪. প্রবেশের পূর্বে বিস্মিল্লাহ পড়বে।

🔹 ৫. দুরূদ ও সালাম পড়বে।

🔹 ৬. দোয়া পড়বে।

এই তিনটাকে একত্রে, এই দোয়া সাধারণত মসজিদে প্রবেশের সময় এভাবে পড়া যায়-

আরবি:

بِسْمِ اللَّهِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহ, ওয়াস্-সালাতু ওয়াস্-সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ। আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রহমাতিকা।

বাংলা অর্থ:
আল্লাহর নামে (আমি প্রবেশ করছি), শান্তি ও দরূদ বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের ওপর। হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দাও।

🔹 ৭. প্রবেশ কালে এই দোয়াও পড়বে।

মসজিদের প্রবেশ কালে দোয়াঃ

আরবি:

رَبِّ أَنزِلْنِي مُنزَلًا مُبَارَكًا وَأَنتَ خَيْرُ الْمُنزِلِينَ

উচ্চারণ:
রব্বি আনজিলনী মুনজালান মুবারাকান ওয়া আন্তা খাইরুল মুনজিলীন।

বাংলা অর্থ:
হে আল্লাহ, তুমি কল্যাণকর ভাবে আমাকে অবতরণ করাও, তুমি শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী।

তথ্য:

  • এই দোয়াটি মূলত নূহ (আঃ) এর দোয়া, যখন তিনি তুফানের পর নিরাপদে জাহাজ থেকে অবতরণ করেন।
  • তবে অনেক আলেম বলেন, এটি নতুন কোনো ঘরে প্রবেশের সময়, ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার সময়, কিংবা নতুন জায়গায় নামার সময় (যেমন হোটেল, ভাড়া বাসা বা অন্য কোথাও) এই দোয়াটি পড়া উত্তম।

(৩) মসজিদের ভিতরের সুন্নাত ও আদব সমূহ

🔹 ১. মসজিদে প্রবেশ করতঃ (নফল) এ’তেকাফের নিয়ত করবে।

🔹 ২. শয়তান থেকে পানাহ চাওয়ার নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে-

শয়তান থেকে পানাহ চাওয়ার দোয়া

আরবি:

أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

উচ্চারণ:
আ‘উযু বিল্লাহিল আযীম, ওয়াবি ওয়াজহিহিল কারীম, ওয়া সুলত্বানিহিল কাদীম, মিনাশ শাইত্বানির রজীম।

বাংলা অর্থ:
আমি আশ্রয় চাই মহান আল্লাহর কাছে, তাঁর সম্মানিত মুখমণ্ডলের প্রতি, এবং তাঁর চিরন্তন ক্ষমতার প্রতি — বিতাড়িত শয়তান থেকে।

হাদীস উৎস (সনদসহ):
এটি আবু দাউদ, নাসাঈ, ও ইবনু মাজাহসহ বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে এসেছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ এটি বিশেষ করে মসজিদে প্রবেশের সময় অথবা জ্বিন-শয়তানের আশঙ্কা হলে পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।

🔹 ৩. যে বা যারা নামাযে রত নয় তাদেরকে এমনভাবে সালাম দিবে যেন নামাযে রত লোকদের নামাযে ব্যাঘাত না ঘটে।

🔹 ৪. মসজিদে কেউ না থাকলে বা অবসর কেউ না থাকলে এই বলে (আস্তে) সালাম দিবে-

একা থাকলে/মসজিদে কেউ না থাকলে আস্তে সালামঃ

আরবি:

السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَىٰ عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ

উচ্চারণ:
আস্-সালামু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লাহিস্‌-সালিহীন।

বাংলা অর্থ:
আমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

ইসলামি ব্যাখ্যা:

  • এই দোয়াটি মূলত সহীহ হাদীসে এসেছে — সালাতে তাশাহহুদের সময়।
  • এটি এমন একটি দোয়া যেখানে মুসলিম নিজে ও সমস্ত নেককার মুসলমানদের জন্য সালাম ও শান্তি চায়।
  • যখন কেউ একা মসজিদে থাকে বা আশেপাশে কেউ না থাকে, তখন আস্তে করে এই সালাম বলা হতে পারে বিনয় ও বিনম্রতার প্রকাশ হিসেবে।

ব্যবহারিক উপদেশ:

  • একা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে আগে সালাম বলা সুন্নত। কিন্তু কেউ না থাকলে মুখে উচ্চস্বরে সালাম না দিয়ে আস্তে এই দোয়াটি বলা যেতে পারে — ইবাদত হিসেবে নয়, বরং একটি সুন্দর আদব হিসেবে।

🔹 ৫. হারাম এবং মাকরূহ ওয়াক্ত না হলোে মসজিদে প্রবেশ পূর্বক দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ/দুখুলুল মাসজিদ নামায পড়বে। এই নামায বসার পূর্বেই পড়া উত্তম ৷ এই নামায না পড়লে দুরূদ শরীফ পড়বে এবং নিম্নোক্ত দোয়াটি চার বার পাঠ করবে-

আরবি:

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণ:
সুবহানাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার।

অর্থ:
আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

🔹 ৬. উপরোক্ত যিকিরসহ অন্যান্য যিকির বেশী বেশী করা উত্তম।

🔹 ৭. মোনাছেব মত নেক কাজের কথা বলবে এবং গোনাহের কাজ দেখলে বাধা দিবে। এ দায়িত্ব মসজিদের বাইরেও রয়েছে তবে মসজিদে থাকাকালীন এর গুরুত্ব অধিক।

🔹 ৮. মসজিদে বেচা-কেনা না করা।

🔹 ৯. কাউকে বেচা-কেনা করতে দেখলে বলবে-

আরবী:

لا أَرْبَحَ اللَّهُ تِجَارَتَك

উচ্চারণ (বাংলা বর্ণে):
লা আরবাহাল্লা-হু তিজারাতাক।

অর্থ:
আল্লাহ যেন তোমার বাণিজ্যে কোনো লাভ না দেন।

🔹 ১০. কোন হারানো বস্তু তালাশের উদ্দেশ্যে মসজিদে ঘোষণা না দেয়া।

🔹 ১১. কাউকে উপরোক্ত ঘোষণা করতে শুনলে বলবে-

আরবী:

لَا رَدَّهَا اللهُ عَلَيْكَ، فَإِنَّ الْمَسَاجِدَ لَمْ تُبْنَ لِهٰذَا

উচ্চারণ (বাংলা বর্ণে):
লা রাদ্দাহাল্লা-হু আলাইকা, ফা-ইন্নাল মাসাজিদা লাম তুবনা লিহাযা।

অর্থ:
আল্লাহ যেন ওটা তোমার কাছে ফিরিয়ে না দেন। কারণ মসজিদ তো এই উদ্দেশ্যে বানানো হয়নি।

হাদীসের উৎস:
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, “যদি তুমি কাউকে মসজিদে বেচাকেনা করতে দেখো, তাহলে বলোঃ ‘আল্লাহ যেন তোমার ব্যবসায় লাভ না দেন।’ আর যদি কাউকে কোনো জিনিস হারানোর ঘোষণা দিতে দেখো, তাহলে বলোঃ ‘আল্লাহ যেন ওটা তোমার কাছে ফিরিয়ে না দেন। কেননা মসজিদ এই কাজের জন্য নয়।” (সহীহ মুসলিম: ৫৬৯)

মূল শিক্ষা:
মসজিদ ইবাদতের জন্য বানানো হয়েছে। সেখানে দুনিয়াবি ঘোষণা, বিজ্ঞাপন, হারানো জিনিস খোঁজা বা ব্যবসায়িক প্রচারণা শিষ্টাচারের খেলাফ ও নিষিদ্ধ।

🔹 ১২. আল্লাহ্ যিকির ব্যতীত আওয়াজ উঁচু না করা।

🔹 ১৩. কোন শোরগোল না করা।

🔹 ১৪. তলোয়ার বা ভীতিমূলক কিছু উন্মুক্ত না রাখা।

🔹 ১৫. মসজিদে নিজের জন্য কিছু সওয়াল করা নিষেধ এবং এরূপ সওয়ালকারীকে কিছু প্রদান করা মাকরূহ, তবে কোন হাজতমান্দ ব্যক্তির সহযোগিতার জন্য অন্য কেউ বলে দিতে পারে।

🔹 ১৬. মসজিদে দুনিয়াবী কথা-বার্তা না বলা। তবে কারও সাথে সাক্ষাৎ হলোে সংক্ষেপে হালতপুরছী করা (হাল অবস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করা) নিষেধ নয়।

🔹 ১৭. মসজিদে রাজনৈতিক মিটিং সিটিং করা মসজিদের আদব এহতেরামের খেলাপ।

🔹 ১৮. মানুষের ঘাড়ের উপর দিয়ে না যাওয়া।

🔹 ১৯. মসজিদে কোন স্থান দখল নিয়ে ঝগড়া না করা।

🔹 ২০. কেউ কোন স্থান থেকে প্রয়োজনে উঠে গিয়ে থাকলে এবং আবার সেখানে আসবে বুঝতে পারলে তার স্থান দখল না করা।

🔹 ২১. কাতারের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে কারও উপর চাপ সৃষ্টি না করা।

🔹 ২২. নামাযরত ব্যক্তির সন্মুখ দিয়ে অতিক্রম না করা। (নামাযীর সোজা সামনে কেউ বসা থাকলে তিনি এক দিকে সরে যেতে পারেন।)

🔹 ২৩. মসজিদে কফ, থুথু, শিকনি না ফেলা বা কোনভাবে ময়লা আবর্জনা কিংবা নাপাকী না ফেলা।

🔹 ২৪. মসজিদে আঙ্গুল না ফোটানো।

🔹 ২৫. মসজিদে বায়ু ত্যাগ না করা উত্তম, প্রয়োজন হলোে বাইরে এসে বায়ু ত্যাগ করবে।

🔹 ২৬. শিশু এবং পাগলদেরকে মসজিদে না আনা। যে শিশু এবং পাগল দ্বারা মসজিদ নাপাক হওয়ার প্রবল ধারণা থাকে তাদেরকে মসজিদে নেওয়া মাকরূহ তাহরীমী। এরূপ ধারণা না হলোেও মাকরূহ তানযীহী।

🔹 ২৭. মসজিদের মধ্যে যেনা, চুরি, হত্যা ইত্যাদির হদ্দ বা শাস্তি না দেয়া।

🔹 ২৮. মসজিদে কিছু কুরআন, হাদীস, ফেকাহ ইত্যাদি দ্বীনী ইল্‌ল্মের তা’লীম করা উত্তম।

(৪) মসজিদ থেকে বের হওয়ার সুন্নাত ও আদব সমূহ

🔹 ১. বের হওয়ার সময় দরজার/সিড়ির কাছে এসে বাইরে অপেক্ষমান শয়তান দলের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে-

আরবী:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ

উচ্চারণ (বাংলা বর্ণে):
আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’উযু বিকা মিন ইবলীসা ওয়া জুনূদিহি।

অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ইবলীস ও তার বাহিনী থেকে আশ্রয় চাই।

🔹 ২. বিসমিল্লাহ পড়বে।

🔹 ৩. দুরূদ ও সালাম পড়বে।

🔹 ৪. বের হওয়ার দোয়া পড়বে।

এই তিনটাকে একত্রে এভাবে পড়া যায়-

ঘর/মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়াঃ

(তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়ার সংমিশ্রণে একটি দোয়া হিসেবে পড়া যেতে পারে)

আরবী:

بِسْمِ اللَّهِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি, ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু ‘আলা রসূলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।

অর্থ:
হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গোনাহ মাফ কর এবং আমার জন্য তোমার অনুগ্রহ (বা রিযিকের) দরজাগুলো খুলে দাও।

🔹 ৫. বাম পা আগে বের করবে।

🔹 ৬. তারপর ডান পা বের করবে।

🔹 ৭. ডান পায়ে আগে জুতা পরবে।

🔹 ৮. তারপর বাম পায়ে জুতা পরবে।

[তথ্যসূত্র: আহকামে যিন্দেগী by মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন]

অনুরোধ!! পোষ্ট ভালো লাগলে প্লিজ উপরের শেয়ার আইকনে ক্লিক করে পোষ্টটি শেয়ার করে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক

ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক

○ ইসলাম
নিম্নে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো- Read
কর্মবিমুখতা কী এর কুফল ও পরিহারের গুরুত্বসমূহ

কর্মবিমুখতা কী? এর কুফল ও পরিহারের গুরুত্ব

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: (১) কর্মবিমুখতা কী? (২) কর্মবিমুখতার কুফল (২) কর্মবিমুখতা পরিহারের গুরুত্ব Read
ঈমানের শাখা (imaner shakha)

৭৭টি ঈমানের শাখা (imaner shakha)

○ ইসলাম
আলোচনার বিষয়:  ঈমানের শাখা কি? ঈমানের শাখা কয়টি? ঈমানের শাখা প্রশাখা কয়টি? ঈমানের শাখা pdf, ঈমানের শাখা কয়টি ও কি কি? ঈমানের সর্বোচ্চ শাখা কি? ঈমানের সর্বনিম্ন শাখা কি? ঈমানের সর্বোচ্চ শাখা কয়টি? ঈমানের মৌলিক শাখা কয়টি? ঈমানের সংখ্যা কয়টি? ঈমানের শাখা সমূহ, ঈমানের শাখা কতটি? ঈমানের সর্বোৎকৃষ্ট শাখা কোনটি? ঈমানের ৭৭ টি শাখা কি কি? ঈমানের অংগ, ঈমানের সবচেয়ে ছোট শাখা কোনটি? ঈমানের ৭৭ টি শাখা বই, ঈমানের ৭৭ টি শাখা, ঈমানের শাখা প্রশাখা। Read
সাওম শব্দের অর্থ কী, কাকে বলে সাওমের শিক্ষা এবং গুরুত্ব

সাওম শব্দের অর্থ কী, কাকে বলে? সাওমের শিক্ষা ও গুরুত্ব

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: (১) সাওম শব্দের অর্থ কী? (২) সাওম কাকে বলে? (৩) সাওমের নৈতিক শিক্ষা (৪) সাওমের সামাজিক শিক্ষা (৫) সাওমের ধর্মীয় গুরুত্ব (৬) সাওমের সামাজিক গুরুত্ব Read
informationbangla.com default featured image compressed

সূরা আত তারিক্ব: অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: সূরা আত-তারিক্ব কুরআন মাজিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, যেখানে আল্লাহ তায়ালা মানুষের সৃষ্টি, হিসাব-নিকাশ এবং কিয়ামতের বার্তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই পোস্টে সূরা আত-তারিক্ব এর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও শিক্ষার আলোচনার মাধ্যমে পাঠকদের জন্য সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। Read
informationbangla.com default featured image compressed

আজানের জবাব ও দোয়াঃ আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে? আযানের দোয়া বাংলা অর্থসহ

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: নিম্নে আজানের জবাব ও দোয়াঃ আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে? আযানের দোয়া বাংলা অর্থসহ প্রভৃতি বিষয়াদি সুন্দর ও সহজভাবে উপস্থাপন করা হলো- Read
নামাজের নিষিদ্ধ সময়

নামাজের নিষিদ্ধ সময়

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: (১) নামাজের নিষিদ্ধ সময়সমূহ কয়টি ও তা কখন? (২) নামাজের নিষিদ্ধ সময় সমূহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে কি হয়? Read
এবরশন, এম আর, প্রসবকালীন সময় ও প্রসূতি সম্পর্কিত কিছু ইসলামিক মাসআলা

এবরশন, এম আর, প্রসবকালীন সময় ও প্রসূতি সম্পর্কিত কিছু ইসলামিক মাসআলা

আলোচ্য বিষয়: (১) গর্ভপাত ও এম আর বিষয়ক মাসায়েল মাসায়েল (২) প্রসবকালীন সময়ের কয়েকটি মাসআলা মাসায়েল (৩) প্রসূতি সম্পর্কে কয়েকটি মাসআলা মাসায়েল Read
যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হলো- (১) যাকাতের পরিচয় (২) যাকাতের ধর্মীয় গুরুত্ব (৩) যাকাতের সামাজিক শিক্ষা (৪) যাকাতের অর্থনৈতিক শিক্ষা Read
তাহারাত ও নাজাসাত অর্থ কি, মানে কি, কাকে বলে, কত প্রকার তাহারাত অর্জনের উপায়সমূহ

তাহারাত ও নাজাসাত অর্থ কি, মানে কি, কাকে বলে, কত প্রকার? তাহারাত অর্জনের উপায়সমূহ

○ ইসলাম
আলোচ্য বিষয়: (১) তাহারাত অর্থ কি, মানে কি, কাকে বলে, কত প্রকার? (২) নাজাসাত অর্থ কি, মানে কি, কাকে বলে, কত প্রকার? (৩) অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনের উপায়সমূহ (৪) শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পবিত্রতার ভূমিকা Read